জলঢাকা রেলসেতুতে উদ্ধার হওয়ার পর। নিজস্ব চিত্র।
চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছিলেন এক যাত্রী। খবর পেয়েও তাঁকে সারারাত ফেলে রাখার অভিযোগ উঠল রেল পুলিশের বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, গুরুতর জখম হয়ে রাতভর বৃষ্টিতে ভিজে পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। দুর্ঘটনার খবর পেয়েও তাঁকে উদ্ধার করার বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি রেল !
বুধবার সকালে খবর পেয়ে নাগরাকাটা থানার পুলিশ আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সুলকাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মালবাজারের পানোয়ার বস্তির বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম গোবিন্দ বসফোর। মঙ্গলবার ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে তিনি মালবাজার থেকে আলিপুরদুয়ারের পথে যাচ্ছিলেন। অসাবধানতাবশত চলন্ত ট্রেন থেকে জলঢাকা রেলসেতুর উপর পড়ে যান তিনি। গুরুতর জখম হন। বিষয়টি রেল পুলিশকে জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন গোবিন্দের সহযাত্রীরা। তারপরও তাকে উদ্ধার করতে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রেলপুলিশের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বাসিন্দা এস কে সাহিদ জানিয়েছেন, বনকর্মীরাই প্রথম দেখত পান গোবিন্দকে। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ তারাই খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দাদের। সাহিদ বলেন, "দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যাবস্থা করা হয়। পরে জানতে পারি, রাতেই নাগরাকাটা রেল স্টেশনে দুর্ঘটনার খবর দেওয়া হয়েছিল। তারপরও আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করার কোনও ব্যবস্থা হয়নি। রাতভর বৃষ্টিতে ভিজেছেন ওই ব্যক্তি।" ১২ ঘণ্টা এভাবেই পড়ে থাকার পর অবশেষে রাজ্য পুলিশ তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে বলে জানান সাহিদ।
যদিও রেল পুলিশের আধিকারিক অজয় ঢক্কল উদাসীনতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন আহত ব্যক্তি যে রাতভর দুর্ঘটনাস্থলেই পড়েছিলেন, সে খবর তাদের জানা ছিল না। সকালে খবর পাওয়া মাত্রই রেল পুলিশ সেখানে পৌঁছয়। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে।