এসএসকেএম হাসপাতালের বেডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
নন্দীগ্রামে আঘাত পাওয়ার পর গ্রিন করিডোর তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। এ বার এমআরআই-সহ নানা পরীক্ষার জন্য সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস-এ। রাত ১টা নাগাদ এমআরআই এবং অনান্য পরীক্ষা করার পর তাঁকে আবার ফিরিয়ে আনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই বাঙুরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
বুধবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙুর ইনস্টিটিউটে। সেখানে তাঁর এমআরআই-সহ একাধিক পরীক্ষা (ইমেজিং) হওয়ার কথা। করা হবে স্নায়ু সংক্রান্ত পরীক্ষাও। ইতিমধ্যেই এসএসকেএম-এ তাঁর এক্স রে এবং সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডের ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি মমতা। সেখান থেকে তাঁকে ট্রলি করে এনে তোলা হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। বাঙুরে পরীক্ষা হওয়ার পর ফের তাঁকে ফেরানো হবে এসএসকেএম-এ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মমতার কোমরের নীচের অংশে চোট রয়েছে। তাঁর বাঁ পায়ের গোড়ালি ফুলে রয়েছে। চোট লাগা অংশে তীব্র ব্যথা রয়েছে বলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তাঁকে ইতিমধ্যেই ব্যথা উপশমের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের রানিচকে একটি হরিনাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠান থেকে বেরনোর মুখে মমতা পড়ে যান। তাঁর অভিযোগ, চার-পাঁচ জন তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তাঁর পায়ে এবং কোমরে চোট লাগে। ফুলে যায় বাঁ পা। এর পর তড়িঘড়ি গ্রিন করিডর করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতাকে এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডের ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক ভাবে ৫ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করে শুরু হয়েছে চিকিৎসা। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরপ নিগম-সহ স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ কর্তারাও হাজির হন হাসপাতালে।