—প্রতীকী চিত্র।
বন্ধ হয়ে গেল ব্লক ও পুরসভাস্তরের ছাত্র-যুব উৎসব। এ বছর জেলা স্তরেই শুধু ওই হবে। সম্প্রতি জেলাস্তরের এক প্রশাসনিক বৈঠকে ঠিক হয়েছে, পুরুলিয়া ইন্ডোর স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে ১১-১২ জানুয়ারি জেলা ছাত্র-যুব উৎসব হবে।
পুরুলিয়া জেলা পরিষদের কো-মেন্টর জয় বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, ‘‘এ বার কেবলমাত্র জেলাস্তরেই ছাত্র-যুব উৎসব হচ্ছে। ব্লক বা পুরসভা স্তরে এ বার উৎসব হচ্ছে না। কারণ জানি না। রাজ্য থেকে সেই মর্মেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, সমস্ত ব্লক ও পুরএলাকার প্রতিযোগিতারা সরাসরি জেলাস্তরে যোগ দিতে পারবেন।
আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে রাজ্য সরকারের চালু করা বিভিন্ন উৎসবে রাশ টানা শুরু হয়েছে। আগেই বন্ধ হয়েছে ব্লকে ব্লকে কৃষি মেলা। বন্ধ জেলা পুলিশের জঙ্গলমহল কাপ ফুটবল, তিরন্দাজি, ছৌ-জাম্প ও পাতানাচের প্রতিযোগিতাও। একসময়ে মাওবাদী উপদ্রুত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায় থানা স্তর, জেলাস্তর থেকে ধাপে ধাপে বাছাই করে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা হত। করোনার পর থেকে সে সব বন্ধ।
গত বছর পর্যন্ত জঙ্গলমহল উৎসব হলেও এ বার নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়নি। উৎসবে প্রধান ভূমিকায় থাকা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু বলেন, ‘‘এ বার এখনও পর্যন্ত জঙ্গলমহল উৎসবের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। কবে হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।’’
পুরুলিয়া জেলা যুব দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যে পালাবদলের আগে থেকেই ব্লক ও পুরসভাস্তরে ছাত্র-যুব উৎসব হয়ে আসছে। ধাপে ধাপে জেলা স্তর ও রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতা হয়। সূত্রের দাবি, জেলাস্তরের উৎসবের বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও এখনও রাজ্যস্তরের উৎসবের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি।
পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘সরকারি উৎসবকে শাসকদল ভোটব্যাঙ্কের কাজে ব্যবহার করে আসছে বলে আগে থেকেই আমরা অভিযোগ করে আসছি। একশো দিনের কাজের প্রকল্প ও আবাস যোজনার টাকায় এই উৎসব হত। এ বার মানুষ সেই সত্যিটা বুঝতে পারছেন।’’
অভিযোগ উড়িয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘সমস্ত উৎসবই রাজ্য সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে করে আসছে। আমরা মনেকরি, প্রতিভাকে তুলে আনতে এই ধরনের উৎসবের প্রয়োজন রয়েছে। এতদিন উৎসব করলে বিজেপির সহ্য হত না। এখন উৎসব হচ্ছে না, তা নিয়েও সমালোচনা করছে। এই দুমুখো নীতির জন্যই রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে।’’