বিয়ে ঠেকাতে গিয়ে ব্যর্থ প্রশাসন। নিজস্ব চিত্র।
নাবালিকার বিয়ে দিচ্ছে পরিবার। খবর পেয়ে বিয়ের দিন ছুটে গিয়েছিলেন চাইল্ড লাইনের সদস্যরা। কিন্তু নাবালিকার বিয়ে রুখতে গিয়ে খেলেন মার। কন্যাপক্ষের মারধর এবং ইটবৃষ্টির মুখে পড়ে ডাকতে হল পুলিশ বাহিনী। পথ না পেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে আশ্রয় নিলেন চাইল্ড লাইনের সদস্যরা। রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ি থানার জনিদপুর এলাকায়। মারমুখী পাত্রীপক্ষের মুখোমুখি হয়ে বিয়ে না ঠেকিয়েই ফিরতে হল প্রশাসনকে।
সিউড়ি চাইল্ড লাইনের সদস্য দেবাশিস দাস জানান, রবিবার সন্ধ্যায় ওই বিয়েবাড়িতে গিয়ে পাত্রীপক্ষ এবং পাত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান তাঁরা। নাবালিকার বিয়ে দেওয়া যে বেআইনি, বোঝাতে চান। কিন্তু তাঁদের যাওয়ার খবর পেয়েই পাত্রীকে লুকিয়ে দেন পরিবারের লোকজন। তাঁর অভিযোগ, এ নিয়ে পাত্রীপক্ষের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাঁদের। তার পরই তাঁদের উপর চড়াও হন ওই বাড়ির মহিলারা। রীতিমতো টানাহেঁচড়া শুরু হয় তাঁদের। ইট ছোড়া শুরু হয়। এই অবস্থায় কোনও ক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে আশ্রয় নিই। পরে সিউড়ি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।
নাবালিকার বিয়ে রুখতে গিয়ে এ ভাবে বাধা পাবেন তা ভাবেননি দেবাশিসরা। তিনি নিজে আহত হয়েছেন। প্রহৃত হয়েছেন সোমা সিংহ নামে আর এক সদস্যা। পুরো ঘটনায় স্তম্ভিত চাইল্ড লাইনের এই সদস্যরা।
ওই নাবালিকার বিয়ে রুখতে ব্যর্থ হয়েছে চাইল্ড লাইন। তবে ওই পরিবারকে দিয়ে একটি মুচলেকা লেখানো হয় যে, ১৮ বছর বয়স না হলে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠাবেন না তাঁরা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।