কেনাকাটা: বাঁকুড়ার প্রতাপবাগানের একটি আবাসনে। নিজস্ব চিত্র
গাড়িতে ঘুরে পাড়ায় আনাজ বিক্রির প্রশাসনিক উদ্যোগে ভাল সাড়া মিলল বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরে। বাঁকুড়া শহরের পথে ‘সুফল বাংলা’র গাড়ি নামার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বেশির ভাগ আনাজ শেষ হয়ে যায়। বিষ্ণুপুরেও আনাজ কিনতে ক্রেতাদের ভিড় জমেছিল।
বাঁকুড়ার সুফল বাংলা স্টলের ইনচার্জ তাপসকুমার দাস জানান, প্রায় ন’কুইন্টাল আনাজ গাড়িতে তোলা হয়েছিল। প্রতাপবাগান ও জুনবেদিয়া এলাকাতেই শেষ হয়ে যায় সেগুলি। ৪৭০টি ডিম বিক্রি হয়েছে প্রথম দিন। অন্য দিকে, বিষ্ণুপুরের সুফল বাংলা স্টলের ইনচার্জ সৌরভ সিংহ ঠাকুর জানান, গাড়িতে তোলা আনাজ ও ডিমের ৭৫ শতাংশই বিক্রি হয়ে গিয়েছে এ দিন। বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, শহরের কোথায়, কখন ভ্রাম্যমাণ আনাজের গাড়ি যাবে, তা আগে থেকে মাইকে প্রচার করে মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বিষ্ণুপুর স্টেশন রোডের বাসিন্দা কাকলি মুখোপাধ্যায়, উজ্জ্বলকুমার মল্লিক, দেবকুমার চট্টোপাধ্যায়েরা হাতের কাছে টাটকা আনাজ পেয়ে খুশি। তাঁরা বলেন, “বাজারে খুব ভিড় হচ্ছে। সেখানে ঠেলাঠেলিতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। গাড়ির কাছে দুরত্ব বজায় রেখে ক্রেতারা দঁড়াচ্ছেন। ঝুঁকি অনেকটাই কম।”
তবে বাজার ও সুফল বাংলার আনাজের দরে তফাত না থাকায় আক্ষেপ করেছেন অনেকেই। বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা উমাচরণ গড়াই বলেন, “সরকারি ভাবে যে হেতু বিক্রি করা হচ্ছে, তাই মানুষ বাজারের থেকে একটু কম দাম তো আশা করবেই। কিন্তু এখানেও দেখছি বাজারের সমান দর যাচ্ছে।” সৌরভবাবু অবশ্য বলেন, “কাঁচা আনাজের গুণমান বিচার করেই দাম ঠিক করা হয়েছে।’’