বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
র্যাগিংয়ের অভিযোগ সামনে এসেছে সোমবার। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন ছাত্রকে হস্টেল থেকে বহিষ্কার করার পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে আরও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেছে বিশ্বভারতী।
বিদেশি ভাষা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে পূর্বপল্লি সিনিয়র বয়েজ় হস্টেলে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে তাঁরই তিন সহপাঠীর বিরুদ্ধে। ওই ছাত্র সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) মেল করে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেখান থেকে তা পাঠানো হয় বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে। বুধবার বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযুক্ত তিন ছাত্রকে এ দিন চিঠি ধরানো হয়েছে। তাঁদেরকে হস্টেল থেকে পুরোপুরি বহিষ্কার করার পাশাপাশি দু’টি সিমেস্টার পরীক্ষা এবং ক্লাস থেকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এই শাস্তির বিষয়ে তাঁদের কিছু বক্তব্য থাকলে তা ১০ দিনের মধ্যে লিখিত আকারে বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাতে বলা হয়েছে। না হলে ধরে নেওয়া হবে তারা এই শাস্তি সম্পর্কে সহমত পোষণ করছে।’’
বিভিন্ন সূত্রের খবর, এই ঘটনার পর থেকে পূর্বপল্লী সিনিয়র বয়েজ় হস্টেল ও নিচুবাংলো বয়েজ় হোস্টেলে ছাত্রদের প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করা হয়েছে। অন্য ছাত্রাবাসগুলিতেও নজরদারি চলছে। একই সঙ্গে এ দিন আরও একটি বার্তালাপ প্রকাশ করে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছে বিশ্বভারতী। বলা হয়েছে, ‘‘ক্যাম্পাসে র্যাগিংয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বভারতীর অবস্থান শূন্য-সহনশীলতা। ভুক্তভোগী ছাত্রদের রক্ষা করতে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য কঠোর পদক্ষেপ করেতে দ্বিধা করবে না বিশ্বভারতী।’’ বার্তালাপে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউজিসি থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
তবে, এ দিনের বার্তালাপে একাংশ অধ্যাপককেও আক্রমণের নিশানা বানিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাঁদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, “সংযত না হলে ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং বিশ্বভারতীর শুভাকাঙ্ক্ষীদের সুরক্ষার জন্য বিশ্বভারতীর স্ট্যাটুট অনুসারে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এর প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠন ভিবিইউএফএ-র সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “যে উপাচার্য সমস্ত আইন ভেঙে যৌন হেনস্থার অভিযোগকে চাপা দেওয়ার জন্য অনশনে বসতে পারেন, তাঁর মুখে এ ধরনের কথা মানায় না!”