রামপুরহাটগামী বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনের আগের ভাড়া ছিল ৪৫ টাকা। নিজস্ব চিত্র।
ট্রেনের অভাবে এখনও ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনেও গুনতে হচ্ছে এক্সপ্রেসের ভাড়া। এর ফলেই চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা। কোভিড বিধি একটু শিথিল হতেই বর্ধমান-রামপুরহাট লুপলাইনে লোকাল ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হয়েছে। যদিও বেশ কয়েকটি লোকাল ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল এখনও অবধি বন্ধ আছে। তাই দু’টি প্যাসঞ্জার ট্রেনের ভাড়া আগের থেকে তিনগুণ বেশি দিতে হচ্ছে যাত্রীদের।
কোভিড আবহের আগে হাওড়া থেকে রামপুরহাটগামী বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া ছিল ৪৫ টাকা। কিন্তু সেই ভাড়াই এখন বেড়ে ৮৫ টাকা। পাশাপাশি বেড়েছে রিজার্ভেশনের খরচও। আগে ভাড়া ছিল ৬৫ টাকা। সেটাই এখন দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকায়।
‘বীরভূমের লাইফলাইন’ নামে পরিচিত বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন প্রতিদিন ভোর ৫টা ১০ মিনিটে রামপুরহাট থেকে ছাড়ে। হাওড়ায় ঢোকে বেলা ১০টা ১০ মিনিটে। অন্যদিকে হাওড়া থেকে ছাড়ে বিকেল ৪টে ৩৫মিনিটে ও রামপুরহাটে পৌঁছায় রাত ৯টা ২৫ মিনিটে।
একই ভাবে ভাড়া বেড়েছে বর্ধমান তিনপাহাড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনেরও। আগে বর্ধমান থেকে গুসকরা স্টেশনের ভাড়া ছিল দশ টাকা। কোভিড পরিস্থিতিতে তা বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা। তবে নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া গুনতে হলেও বাড়তি কোন সুবিধা মিলছে না। এই বিষয়ে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, করোনার জন্য প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে স্পেশাল ট্রেন হিসেবে চালানো হচ্ছে। তাই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে এক্সপ্রেসের। তবে মার্চের পর সব আগের মত চালু হওয়ার কথা। তখন এই সব সমস্যা মিটে যাবে বলে তিনি এই দিন জানান।