উদ্ধার করা হয় সাপটিকে। নিজস্ব চিত্র।
প্রতি দিনের মতোই রাতের খাবার খেয়ে শুতে যাচ্ছিলেন ষাটোর্ধ্ব প্রাণেশচন্দ্র দেবনাথ। রাত তখন প্রায় বারোটা। লেপ টেনে গায়ে জড়ানোর মুহূর্তে হাতে ঠান্ডা অনুভূত হয়। শুনতে পান ফোঁস ফোঁস শব্দও। লেপ সরিয়ে মোবাইলের আলো জ্বালতেই প্রাণেশের চক্ষু ছানাবড়া। লেপের মধ্যে ঢুকে রয়েছে গোখরো সাপ!
জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের সারিয়াম গ্রামের প্রাণেশ এর পরেই লেপ সরিয়ে লাফ মেরে খাট থেকে নীচে নামেন। মাঝ রাতে তাঁর চিত্কার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় সাপ নিয়ে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে। খবর পেয়ে রাত ১২টা নাগাদ সদলবলে প্রাণেশের বাড়িতে হাজির হন ওই সংগঠনের সদস্যেরা। কিছু ক্ষণের চেষ্টায় ধরা পড়ে সাপটি।
দক্ষিণবঙ্গ থেকে শীত বিদায় নিলেও উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং লাগোয়া জেলাগুলিতে এখনও শীতের প্রকোপ রয়ে গেছে। তার মধ্যেই বাড়ছে বিষাক্ত সাপের আনাগোনা। সাপটিকে উদ্ধার করা ওই সংগঠনের তরফে জানানো হয়, রাত ১২টা নাগাদ তাদের হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করে ওই সাপটিকে উদ্ধারের জন্য অনুরোধ করা হয়। এর পর বিষধর ওই গোখরো সাপটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় ওই সংগঠনের তরফে সাপের আনাগোনা নিয়ে সচেতনতা প্রচারও শুরু হয়েছে।