ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষকদের মতামত খসড়া আকারে জমা দিতে নির্দেশ উপাচার্যের। গত ১৮ জুন, বিকেলে পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সূত্রের খবর, সেখানেই সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারেন সকলে। তার পরই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আলোচনা হয় বৈঠকে। কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় উপাচার্য উপস্থিত শিক্ষকদের নিজেদের মতামত জানিয়ে একটি খসড়া জমা দিতে বলেন। খবর, সকলেই অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণ তোলার বিরোধিতা করছেন। বিশ্বভারতীর ১৯৫১ সালের নিজস্ব আইন আছে, যে আইনের বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। সেই ক্ষমতার বলেই সিদ্ধান্ত হয় কি না, সেদিকেই এখন তাকিয়ে আছেন অনেকে। প্রসঙ্গত, শিক্ষাসত্র ও পাঠভবন থেকে যারা পাশ করে, সেই সমস্ত পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত থাকে। মোট আসনের ৩০ শতাংশ এ ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা হয়। সেটিই তুলে দিতে বলা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত শিক্ষকদের প্রায় সকলেই অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণ তোলার বিরোধিতা করেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন আশ্রমিকরাও। তাঁরা বলেছেন, ২০১৪ সালে সুশান্ত দত্তগুপ্ত উপাচার্য থাকাকালীন অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণ তোলার জন্য প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। কিন্ত সকলে ঐকবদ্ধ হয়ে ১৪ দিন ধরে আন্দোলন করেন প্রস্তাবের বিরুদ্ধে। এ বারেও প্রয়োজনে স্পষ্ট বিরোধিতা করা হবে। বিশ্বভারতী ছাত্রছাত্রী ঐক্য মঞ্চের তরফ থেকে সোমনাথ সৌ জানিয়েছেন, সংরক্ষণ তুলে নিলে আন্দোলন শুরু করতে বাধ্য হবেন তাঁরাও।