Nutrition for kids

শিশুকে নিয়ম করে কোন কোন খাবার খাওয়ালে বুদ্ধির বিকাশ হবে দ্রুত, মনে রাখার ক্ষমতাও বাড়বে

পুষ্টির পাশাপাশি বুদ্ধির গোড়াতেও শান দিতে চাইলে খাওয়াদাওয়ায় সবচেয়ে আগে নজর দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে বাজারচলতি হেল্‌থ ড্রিঙ্ক নয়, শিশুকে নিয়ম করে খাওয়াতে হবে এমন কিছু খাবার যা মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০৮
Share:

শিশুর বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে বাবা-মায়েরা কী কী খাওয়াবেন? ছবি: ফ্রিপিক।

সন্তানের সার্বিক বৃদ্ধি সব বাবা-মায়েরই প্রধান লক্ষ্য। সন্তানকে সুস্থ রাখতে, মায়েরা কত কীই না করেন। বেশির ভাগ অভিভাবকের ধারণা, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবেই শিশুর বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে। তবে এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। পুষ্টির পাশাপাশি বুদ্ধির গোড়াতেও শান দিতে চাইলে খাওয়াদাওয়ায় সবচেয়ে আগে নজর দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে বাজারচলতি হেল্‌থ ড্রিঙ্ক নয়, শিশুকে নিয়ম করে খাওয়াতে হবে এমন কিছু খাবার যা তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাবে দ্রুত। স্মৃতিশক্তিও উন্নত করবে।

Advertisement

প্রত্যেক শিশুর শরীরের গঠন আলাদা। তাই তাদের ডায়েটও পৃথক হওয়াই উচিত। অনেকেরই বিভিন্ন রকম খাবারে অ্যালার্জি থাকে। যেমন কেউ দুধ হজম করতে পারে, আবার কেউ নয়। তাই সে ক্ষেত্রে বিকল্প কী খাওয়াতে পারেন তা-ও জেনে নিন।

শিশুর বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটাতে বাবা-মায়েরা কী কী খাওয়াবেন?

Advertisement

হেল্‌থ ড্রিঙ্কের বদলে ডিম ও দুধ

সুষম খাদ্য হিসাবেও নিয়মিত দুধ ও ডিম খেতে বলেন অনেক পুষ্টিবিদই। গরুর দুধে ভরপুর প্রোটিন, ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন পাবে শিশুরা। তবে যদি শিশুর দুধে অ্যালার্জি থাকে, তা হলে বিকল্প হিসেবে কাঠবাদামের দুধ বা সয়া মিল্ক খাইয়ে দেখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে শিশুর পাতে রোজই একটি করে ডিম দেওয়া যায়। ডিমে থাকে কোলিন, ভিটামিন বি১২ ও প্রোটিন। ডিমের কুসুমে থাকে কোলিন যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, বুদ্ধির বিকাশও ঘটায়। যদি দুধ ও ডিমে অ্যালার্জি থাকে, তা হলে বিকল্প হিসেবে পনির খাওয়াতে পারেন। পনিরেও কোলিন থাকে ভরপুর মাত্রায়।

ছোট মাছ

মাছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। রোজের পাতে ছোট মাছের ঝোল রাখলে, শিশুর পুষ্টিও হবে আবার বুদ্ধির বিকাশও হবে। তবে শিশু যদি মাছ খেতে না চায় তা হলে বিকল্প হিসেবে কাঠবাদাম, চিয়া বীজ, তিসির বীজ খাওয়াতে পারেন। একই উপকার হবে।

সবুজ শাকসব্জি

৬ মাস বয়সের পর থেকে শিশু যখন একটু একটু করে শক্ত খাবার খেতে শিখবে, তখন থেকেই রোজের খাওয়ায় প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি এবং আয়রন রাখতেই হবে। সে জন্য নানা ধরনের সবুজ শাক ও সব্জি খাওয়ানো খুব জরুরি।

দই

দইতে প্রচুর পরিমাণে থাকে আয়োডিন, জিঙ্ক ও প্রোটিন। দই হল প্রোবায়োটিক যা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। নিয়ম করে দই খেলে শীতকালীন অনেক রোগবালাইয়ের সঙ্গে লড়াই করা যায়। তবে শিশুকে ঘরে পাতা দই খাওয়ালেই ভাল।

বাদাম ও বীজ

বিভিন্ন ধরনের বাদাম বা বীজের মধ্যে হরেক রকম ভিটামিন, খনিজ, ভাল মানের ফ্যাট তো থাকেই, সেই সঙ্গে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। কাঠবাদাম, কাজু, কুমড়ো ও সূর্যমুখীর বীজে থাকে জিঙ্ক ও প্রোটিন যা মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে, স্মৃতিশক্তিও বাড়ায়।

ডাল

ডায়ে আয়রন, প্রোটিন ও ফোলেট ভরপুর মাত্রায় থাকে। শিশুকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা রকম ডাল খাওয়াতে হবে। তবে শুরুতেই অড়হর, ছোলা, মটর ওদের পক্ষে হজম করা কঠিন হবে। তাই মুগ বা মুসুর ডালই দিন। পরে ধীরে ধীরে অন্যান্য ডাল খাওয়াবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement