ফাইল চিত্র।
জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে মৃতদের মধ্যে খোঁজ মিলল এক জন জীবিতের। ডিএনএ-র জাল রিপোর্ট জমা দিয়ে চাকরি এবং ক্ষতিপূরণের টাকা হাতানোর অভিযোগে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত অমৃতাভ চৌধুরী ও তাঁর বাবাকে।
জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে মৃতদের তালিকায় নাম ছিল অমৃতাভের। সেই সময়েই মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেয় রেল। মৃতদের পরিবারের এক সদস্যকে সরকারি চাকরিও দেওয়া হয়। ডিএনএ নমুনা দেখিয়ে সেই চাকরি এবং সরকারি আর্থিক সাহায্য পেয়েছিলেন অমৃতাভের বোন।
সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের ভিজিল্যান্স দফতরে কিছু অসঙ্গতি ধরা প়ড়তেই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। রেলের তরফে সিবিআই-কে বিষয়টি জানানো হয়। এর পরই জোড়াবাগান থেকে আটক করা হয় অমৃতাভ চৌধুরী ও তাঁর বাবাকে।
২০১০ সালে ২৮ মে-র রাতে ঝাড়গ্রামের সর্ডিহার রাজাবাঁধ এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে ওই রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময়ে ডাউন লাইনে উল্টোদিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের। ঘটনায় ১৪৮ জন মারা গিয়েছিলেন বলে খবর। মৃতদের সেই তালিকাতেই ছিল অমৃতাভর নাম।