নিজস্ব চিত্র
বেতন বকেয়া পড়ে আছে, এ ছাড়াও নানারকম সমস্যায় রয়েছেন বিশ্বভারতীর শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীরা। আর তাই নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করলেন বিশ্বভারতী শিক্ষক সংগঠনের দুই প্রতিনিধি। পাশাপাশি, বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীদের পক্ষ থেকে ৩২ জন সদস্য দেখা করে অভিযোগ জানালেন অনুব্রত মণ্ডলের কাছে। এ ছাড়াও তাঁরা কথা বললেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মালের সঙ্গেও।
রবিবার তৃণমূল কার্যালয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও সাংসদ অসিত মালের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন দুই শিক্ষক। তাঁদের তরফ থেকে লিখিত আকারে অভিযোগ তুলে দেওয়া হয়। নিরাপত্তাকর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের অকারণে হেনস্থা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রাত-বিরেতে ব্যাগ তল্লাশি করা হচ্ছে, অকারণে অভিযুক্তের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে তাঁদের সঙ্গে।
পুরো বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ সাংসদও। তিনি জানালেন, ‘‘বিশ্বভারতীর শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী ও অস্থায়ী কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাচ্ছেন না। পড়ুয়ারা ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাঁদের সাসপেন্ড করে দেওয়া হচ্ছে। সারা ভারতে এমনটা কোথাও হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। সংসদের অধিবেশন চালু হলে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে চাইব। সংসদেও তুলব পুরো বিষয়টা। প্রধানমন্ত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। তাঁকেও জানাব সব।’’
অপর দিকে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষী বদরুল জামান অভিযোগ করেছেন, ‘‘রাতে আমাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। কখনও চোর সন্দেহে তল্লাশি করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদেরই অভিযুক্ত ভাবছে। এ ছাড়াও আরও একধিক অত্যাচার করছেন উপাচার্য। এই সব অভিযোগ তুলে ধরতে আমরা এসেছিলাম।’’