প্রতীকী ছবি।
কলেজ অধ্যক্ষদের ‘ই মেল অ্যাকাউন্ট’ থেকে অর্থ সাহায্যে চেয়ে মেল পাচ্ছেন অধ্যক্ষদের পরিচিতেরা। মেলে লেখা—“আমার, আপনার কাছ থেকে অনুগ্রহ প্রয়োজন। দ্রুত যোগাযোগ করুন।’’
রাজ্যের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পরিচয় ভাঙিয়ে এই ধরনের ভুয়ো মেল করা হচ্ছে বলে চর্চা ছিল। দিন তিনেকের মধ্যে বীরভূমের দুই কলেজ অধ্যক্ষ একই অভিজ্ঞতার শিকার হলেন। সেই তালিকায় রয়েছেন বীরভূম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়। অন্য জন দুবরাজপুরের হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম চট্টোপাধ্যায়। দিন তিনেকের মধ্যে এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিব্রত দুই অধ্যক্ষ। তাঁদের পরিচিতি ব্যবহার করে মানুষের কাছে টাকা হাতানোর পিছনে কোনও অপরাধ চক্রের হাত রয়েছে কিনা, সেটা তদন্ত করে দেখার অনুরোধ নিয়ে দু’জনেই বীরভূম সাইবার থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।
জানা গিয়েছে. ওই দুই অধ্যক্ষ যে ই মেল আইডি ব্যবহার করেন, হুবহু তার নকল আইডি বানিয়ে মেল করা হয়েছে তাঁদের পরিচিতদের। যেখানে লেখা, “আই নিড এ ফেভার ফ্রম ইউ। প্লিজ় ই-মেল মি ব্যাক অ্যাজ় আর্লি অ্যাজ় পসিবল।’’
যাঁদের কাছে মেল পৌঁছেছে, তাঁদের কাছ থেকেই সোমবার বিষয়টি জানতে পারেন পার্থসারথিবাবু। গৌতমবাবু জানতে পারেন মঙ্গলবার। উদ্বেগের শুরু তখন থেকেই। দু’জনেই বলছেন, ‘‘বিভ্রান্তির শিকার কেউ যাতে না হন, সেটা নিশ্চিত করতে সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানাবার চেষ্টা করি, এমন মেল কেউ পেয়ে থাকলে উত্তর দেবেন না। আমাদের পরিচয় চুরি করে কেউ এমনটা করেছে।’’
কিন্তু এর পরেও তাঁরা নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। উদ্বেগের পিছনে অবশ্য কারণ রয়েছে। এর আগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন কলেজ পড়ুয়ার নাম করে ‘ভুয়ো’ ফোনে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব সম্পর্কিত অত্যন্ত ব্যক্তিগত প্রশ্ন করার বিষয়ও সামনে এসেছে। এ বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নামে ভুয়ো মেল আইডি বানিয়ে টাকা চাওয়ার ঘটনা সামনে এল।
গৌতমবাবু বলছেন, ‘‘কেউ কেউ আমার নামে মেল পেয়ে সরাসরি ফোন করেছিলেন। কেউ কেউ মেলের জবাও দিয়েছেন। সেখানে তাঁদের বলা হয়েছে, গিফ্ট কার্ডে টাকা পেমেন্ট করতে। এটার পিছনে যে বা যারা থাক, উদ্দেশ্য সাধু নয়। অপরাধ চক্র রয়েছে বলেই অভিযোগ করেছি।’’ পার্থসারথিবাবুর কথায়, ‘‘এর আগেও রাজ্যের বিভিন্ন অধ্যক্ষের সঙ্গে এমনটা হয়েছে বলে জেনেছি। কারা এর পিছনে, সেটা সামনে আসা জরুরি।’’