আটকে দেওয়া হয়েছে প্রবেশপথ। নিজস্ব চিত্র
সরকারি রাস্তায় যাতায়াত আটকাতে বিরোধীদের দু’টি বাড়ির সদর দরজা রাতারাতি গেঁথে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। পরিবার দু’টির দাবি, প্রশাসনের সকল স্তরে জানিয়েও কোনও সুরাহা না-হওয়ায় কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটছে বাড়ির লোকজনের। পঞ্চায়েত সদস্যের পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মল্লারপুরের রসুলপুর গ্রামে। প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা তথা স্থানীয় বাজিতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সদস্য মহামেনুল হক ওরফে টিঙ্কুর বাড়ি পর্যন্ত পঞ্চায়েতের করে দেওয়া ঢালাই করা রাস্তা আছে। সেই রাস্তার দু’দিকে বাড়ি রয়েছে কংগ্রেসের জেলা কমিটির সদস্য কবীর হোসেন এবং তাঁর ভাগ্নি আমিনা খাতুনের। ওই রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা যাতায়াত করছেন। ওই দুই পরিবারের অভিযোগ, গত ২৯ নভেম্বর আমিনার বাড়ির সামনে ধানের গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা নিয়ে ওই পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে বচসা বাধে। বচসার জেরে পঞ্চায়েত সদস্য সদলবলে কবীর ও আমিনাকে মারধর করেন এবং রাতারাতি তাঁদের সদর দরজা ইট দিয়ে গেঁথে বন্ধ করে দেন।
কবীর হোসেন বুধবার বলেন, ‘‘ওই রাস্তা দিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করে আসছি। তা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত সদস্য রাস্তাটি তাঁর ব্যক্তিগত জায়গা বলে দাবি করে আমাদের সদর দরজা গেঁথে বন্ধ করে দিয়েছেন। বিধায়ক-সহ প্রশাসনের সব স্তরে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। এর ফলে আমাদের এখন এক প্রকার গৃহবন্দি দশা।’’
এ দিন অনেক চেষ্টা করেও পঞ্চায়েত সদস্য মহামেনুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তাঁর দিদি পম্পা খাতুন দাবি করেছেন, ‘‘আমার ভাই কাউকে মারধর করেনি। কারও দরজা গেঁথে বন্ধ করেও দেয়নি। ওরাই বরং ভাইকে মারধর করেছে। টিঙ্কুকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’’ বাজিতপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মদন দাস বলেন, ‘‘সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য রাস্তাটি পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেই ঢালাই করা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে না জেনে কিছু বলতে পারব না।’’ স্থানীয় বিধায়ক অভিজিৎ রায় বলেন, ‘‘ওই গ্রামে একটা ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। রাস্তার জায়গাটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলেছি।’’ পুলিশ জানায়, উভয়পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।