খোলা হয়েছে মণ্ডপ। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল নেত্রীর কর্মিসভার পরেই বাঁকুড়ার সতীঘাট এলাকায় সভাস্থল সাফাই শুরু করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলবার যেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করেন, বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বিশেষ একটা আবর্জনা নেই। তবে এই কর্মসূচির জন্য নদীর বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন পরিবেশকর্মীরা।
গন্ধেশ্বরীর চরে ওই সভা করা নিয়ে গোড়া থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন পরিবেশকর্মীদের একাংশ। শহরবাসীর অনেকেও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তৃণমূলের তরফে অবশ্য আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সভার জন্য নদীবক্ষে জমা আবর্জনা দ্রুত সাফ করে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার সতীঘাট বাইপাস এলাকায় গন্ধেশ্বরীর চরে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মিসভায় প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, তৃণমূল কর্মীদের দেওয়া খাবার ও জলের প্যাকেটের স্তূপ জমেছিল নদীর চরে। তবে আশ্বাস মতো সভা শেষ হওয়ার পরেই দ্রুত আবর্জনা সাফাইয়ে লোক লাগান তৃণমূল নেতৃত্ব।
এ দিন সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মঞ্চ খোলার কাজ প্রায় শেষ। সভার জন্য জমে থাকা আবর্জনা অনেকটাই সাফ হয়ে গিয়েছে। যেটুকু ময়লা পড়ে রয়েছে, তৃণমূল কর্মীদের দাবি, তা আগে থেকেই ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ওই আবর্জনাও সাফাই করলে নদীর চর পরিচ্ছন্ন হতো।
তবে নদী বক্ষে মোরাম ফেলা ও গাছ কাটা নিয়ে পরিবেশকর্মীরা প্রশ্ন তুলছেন। ‘গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি’-র সাধারণ সম্পাদক গঙ্গা গোস্বামী, বিজ্ঞান মঞ্চের বাঁকুড়া শাখার সম্পাদক জয়দেব চন্দ্র বলেন, “নদী থেকে আবর্জনা সরিয়ে ফেলা সম্ভব। কিন্তু এই কর্মকাণ্ডে নদীর চরিত্র ও জীববৈচিত্রের যে ক্ষতি হল, তা অপূরণীয়।”
জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস বটব্যালের দাবি, “সভা শেষ হওয়ার পর থেকেই আমরা লোক লাগিয়ে আবর্জনা সাফাইয়ের কাজ শুরু করি। নদীর কোনও রকম ক্ষতি আমরা করিনি। গন্ধেশ্বরী নদীকে পুনরুজ্জীবিত করতে নানা সরকারি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।” তাঁর আশ্বাস, তিনি নিজে নদীর সভাস্থলের জায়গা পরিদর্শন করে সাফাই কাজ দেখবেন। কোথাও কোনও রকম আবর্জনা পড়ে রয়েছে নজরে এলে, ফের সাফাই করাবেন।