Self-help group

লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বৌমা, ফেরত চাইতে গেলে দেখে নেওয়ার ‘হুমকি’

স্বনির্ভর দলের সদস্যরা ঋণের কিস্তির টাকা জমা দিতেন তৃণমূল নেতার বৌমার কাছে। অভিযোগ, টাকা ব্যাঙ্কে জমা পড়েনি। এর পর সদস্যেরা তাঁর বাড়িতে যান। তখন তাঁদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

নলহাটি শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪ ১৫:৪৮
Share:

টাকা আত্মসাতের অভিযোগ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। — নিজস্ব চিত্র।

ঋণের কিস্তির কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বৌমার বিরূদ্ধে। টাকা ফেরত চাইতে গেলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ দিকে, ঋণের টাকা মেটাতে চাপ দিচ্ছে ব্যাঙ্ক। ফলে বিপাকে পড়েছেন ঋণগ্রহীতারা। ঘটনা, বীরভূমের নলহাটি থানার বানিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর গ্রামের।

Advertisement

বছর দুয়েক আগে গোবিন্দপুর গ্রামের যমুনা স্বনির্ভর দলের সদস্যারা একটি ব্যাঙ্ক থেকে কাজের জন্য ঋণ নিয়েছিলেন। সদস্যাদের দাবি, ব্যাঙ্কের ঠিক করে দেওয়া মাসিক কিস্তির টাকা নির্ধারিত সময়ে প্রতি মাসে তাঁরা স্বনির্ভর দলের নেত্রী হাজেরা খাতুন এবং কোষাধ্যক্ষ জুলেখা খাতুনের কাছে জমা দিতেন। বানিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য তৃণমূলের ইয়ার মহম্মদ থানেদারের ছেলের বৌ জুলেখা এই স্বনির্ভর দলের কোষাধ্যক্ষ। অভিযোগ, সদস্যারা কিস্তির টাকা দলনেত্রী ও কোষাধ্যক্ষকে নিয়ম করে জমা দিলেও সেই টাকা ব্যাঙ্কে জমা পড়ত না। এ দিকে কিস্তির টাকা না জমা পড়ায় স্বনির্ভর দলের ঋণগ্রহীতাদের কাছে ঋণ শোধ করার জন্য চাপ দিতে থাকে ব্যাঙ্ক। ঘটনা জানতে পেরে হতবাক হয়ে যান স্বনির্ভর দলের সদস্যারা। তার পর দল বেঁধে হাজেরার কাছে যান ঋণগ্রহীতারা। তাঁদের অভিযোগ, ঋণের মাসিক কিস্তির টাকা হাজেরাকে শোধ করতে বললেও তিনি সেই টাকা মেটাতে রাজি হননি। উল্টে তাঁদেরই দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন হাজেরা এবং তাঁর স্বামী, এমনটাই দাবি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের একাংশের।

বিষয়টি স্থানীয় বানিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে জানানো হয়। পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রধান সুভাষ লেট জানিয়েছেন, টাকা আত্মসাৎ করার বিষয়টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী ও কোষাধ্যক্ষ স্বীকার করে নিয়েছেন। সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন সুভাষ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement