চুপ: সদাইপুর থানার বাইরে ভারতী ঘোষ। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
দুই বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ করলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে নানুর থানার মোহনপুর গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত কাঠা ছয়েক সরকারি পতিত জমিকে ঘিরে। ওই জমিটি পুরুষানুক্রমে মনোজ মেটে নামে এক তৃণমূল কর্মীর পরিবার ভোগ দখল করছেন। মাস তিনেক ধরে চালাঘর তৈরি করে মনোজের পরিবার বসবাসও শুরু করেছেন বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। সম্প্রতি মনোজকে হটিয়ে দলীয় পতাকা পুঁতে সেই জায়গা দখল করে পার্টি অফিস তৈরির চেষ্টার অভিযোগ ওঠে বিজেপি-র বিরুদ্ধে। তাই নিয়ে দু’দলের ঝামেলা বাধে। মনোজ ৮ জন বিজেপি কর্মীর নামে নামে নানুর থানায় অভিযোগ করেন। শুক্রবার রাতে মনোজের চালাঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।
শনিবার সকালে বোলপুর যাওয়ার পথে গ্রামের বাসস্ট্যান্ডে বিজেপির কিসান মোর্চার সদস্য সখারাম মেটে ও জীবন খাঁ-কে তৃণমূলের লোকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে পৌনে সাতটা থেকে নানুর-বোলপুর সড়ক অবরোধ করে বিজেপি। ঘণ্টা খানেক পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। বিজেপির বড়া-সাওতা অঞ্চল শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ ছোট্টু থান্দারের অভিযোগ, ‘‘পায়ের তলার মাটি হারিয়ে এলাকার দখল নিতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের লোকেদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর পাশাপাশি মারধর করছে।’’
অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের নানুর ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘এলাকা তো আমাদের দখলেই রয়েছে। তাই বিজেপি-র ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ দায়ের করায় বিজেপি লোকেরা আমাদের এক পঞ্চায়েত সদস্যা এবং কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁদের মারধর করে। আহত অবস্থায় এক জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’ পুলিশ জানায়, দু’পক্ষ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।