খসড়া তালিকা ঘিরে ‘কোন্দল’ প্রকাশ্যে

সুরেশবাবু যেখান থেকে সচরাচর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, ঝালদার সেই ১০ নম্বর ওয়ার্ডটি এ বার খসড়া তালিকায় তফসিলি জাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে।

Advertisement

দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়

ঝালদা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুরভোটের খসড়া তালিকা নিয়ে তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীকোন্দল’ প্রকাশ্যে এল পুরুলিয়ার ঝালদায়। ঝালদা শহর তৃণমূলের পক্ষ থেকে দলীয় প্যাডে সম্প্রতি পুরুলিয়ার জেলাশাসককে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, তাতে আর্জি জানানো হয়েছে আসন্ন নির্বাচনে ঝালদা পুরসভা এলাকায় প্রার্থীদের যে খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তার যেন কোনও রদবদল করা না হয়। ঝালদার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা তৃণমূলের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুরেশ আগরওয়ালের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়েছে, বিগত দিনে তিনি খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে, নিজের ‘ব্যক্তিগত প্রভাব’ খাটিয়েছেন বলে। এ বার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেই দাবি জানানো হয়েছে।

Advertisement

সুরেশবাবু যেখান থেকে সচরাচর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, ঝালদার সেই ১০ নম্বর ওয়ার্ডটি এ বার খসড়া তালিকায় তফসিলি জাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। সূত্রের খবর, শহর তৃণমূলের পাশাপাশি, এলাকার সাধারণ বাসিন্দা বলে দাবি করে কয়েকজন জেলাশাসককে ওই একই ব্যাপারে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তাঁরা দাবি করেছেন, পনেরো বছর পরে, ওই ওয়ার্ডে কোনও তফসিলি জাতির প্রার্থী পুরনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। ওই ওয়ার্ডে বাসিন্দাদের বড় একটা অংশই তফসিলি জাতির হলেও এত দিন তাঁরা সংরক্ষণের সুবিধা পাননি বলে দাবি করা হয়েছে।

দলেরই এক জন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দলীয় প্যাডে এ ভাবে প্রশাসনের কাছে আর্জি জানানো কেন? ঝালদার পুরপ্রধান তথা ঝালদা শহর তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রদীপ কর্মকার বলেন, ‘‘কোনও ব্যক্তি নয়, দলই আসল কথা। বাসিন্দারা তাঁদের আশঙ্কার কথা প্রশাসনকে জানিয়েছেন। আমরাও দলের পক্ষ থেকে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছি।’’ ঝালদা শহর তৃণমূলের আহ্বায়ক দেবাশিস সেন বলেন, ‘‘আগের নির্বাচনে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রশাসনের উপরে ব্যক্তিগত প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছিল। এ বার তিনি আর যাতে সেটা করতে না পারেন, তাই আগেভাগেই আমরা আমাদের আশঙ্কার কথা প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছি।’’

Advertisement

ঝালদার রাজনৈতিক ওঠাপড়া যাঁরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেন, এমন কয়েকজন মনে করাচ্ছেন, বর্তমান পুরপ্রধান প্রদীপ কর্মকারের সঙ্গে প্রাক্তন পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের সম্পর্ক বরাবরই বেশ ‘তিক্ত’। এমনকি, খাস পুরসভা চত্বরেই প্রকাশ্যে ওই দু’জনের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে আসার নজিরও রয়েছে। প্রদীপবাবুদের ডাকা অনাস্থার জেরে সুরেশবাবুর পুরপ্রধানের পদ হারানোর পরে, সে ‘কোন্দল’ অন্য মাত্রা পায়। অনাস্থা পর্বে তৃণমূলেরই একাংশকে সুরেশবাবুর বিরোধিতা করে শহরে রাস্তায় মিছিল করতে দেখা গিয়েছে। সে সময়ে তাঁর এবং দলের মানহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সুরেশবাবু মিছিলে হাঁটা কয়েকজন নেতাকে উকিলের চিঠি পাঠান।

তবে এ বারের বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি সুরেশ আগরওয়াল। জানতে চাওয়া হলে তিনি শুধু বলেন, ‘‘কী আর বলব! এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’’ তবে ব্যক্তিগত প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি তাঁর।

বিজ্ঞান উৎসব

পুরুলিয়া: জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে মঙ্গলবার থেকে শুরু হল ‘বিজ্ঞান উৎসব’। এ দিন জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্র চত্বরে উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন পুরুলিয়া সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপককুমার কর। বিজ্ঞান উৎসবে বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা বিজ্ঞানের মডেল নিয়ে হাজির হয়েছেন। ২৪টি স্কুলের পড়ুয়ারা ৯৬টি বিজ্ঞানের মডেল নিয়ে উৎসবে এসেছেন বলে জানানো হয়ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement