মিঠুনের সভার পরেই জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকের ডাক দেন শাসকদলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া। ফাইল চিত্র।
বাংলায় বুথ স্তরে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রাঢ়বঙ্গে সফরে বেরিয়েছেন দলের নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বুধবার পুরুলিয়ার লধুড়কায় সভাও করেছেন ‘ফাটাকেষ্ট’। ঠিক এক সপ্তাহ পর সেখানেই সভা করার সিদ্ধান্ত নিল শাসকদল। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সভায় বক্তা হিসাবে থাকবেন বালিগঞ্জের দলীয় বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় এবং কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
বুধবার মিঠুনের সভার পরেই জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকের ডাক দেন শাসকদলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, লধুরকায় মিঠুনের সভাস্থলেই আগামী ১ ডিসেম্বর জনসভা হবে। যদিও এই জনসভাকে মিঠুনের পাল্টা সভা বলতে চাইছে না শাসকদল। সৌমেন বলেন, ‘‘সারা বছর ধরেই আমাদের নানা কর্মসূচি থাকে। আমরা মানুষের সঙ্গে ও পাশে থেকে কাজ করি। আমাদের পাল্টা জনসভা করার দরকার পড়ে না।’’ জেলা সভাপতি আরও জানান, বাবুল এবং মহুয়ার জনসভার আগে আগামী শনিবারও পুরুলিয়া শহরে তৃণমূলের একটি জনসভা রয়েছে। ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের কাছে ওই সভায় হাজির থাকবেন তৃণমূল বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় এবং শাসকদলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।
বিজেপির বুধবারের সভাকে কটাক্ষও করেছেন সৌমেন। তিনি বলেন, ‘‘মানুষ ভিড় করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখার জন্য। আমাদের ব্লক স্তরের সভায় এর চেয়ে বেশি ভিড় হয়।’’
বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা দাবি করেছেন বুধবার তাঁদের জনসভা ছিল না। ছিল কর্মিসভা। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের জনসভা ছিল না। কর্মিসভা ছিল। এতে শুধু কর্মীরাই এসেছিলেন। তৃণমূল যদি পাল্টা জনসভা করতে চায়, করতেই পারে।’’