হাওড়া ব্রিজের মাথায় উঠে পড়েছিলেন যুবক। নিজস্ব চিত্র।
হাওড়া ব্রিজের মাথায় উঠে পড়েছিলেন এক যুবক। সেখান থেকে নেমে এসে তিনি পুলিশকে জানালেন, কেন তিনি হঠাৎ এমন কাণ্ড করেছিলেন। পুলিশের প্রশ্নের উত্তরে যুবকের নির্বিকার জবাব, ‘‘দেখছিলাম, আমার বাড়িটা দেখা যায় কি না।’’
যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই অনুমান পুলিশের। বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ হঠাৎ দেখা যায়, হাওড়া ব্রিজের মাথায় কেউ হাঁটাচলা করছেন। উপর থেকে হাত নেড়ে তিনি কিছু বলার চেষ্টাও করছিলেন। মাঝে মাঝে আবার হাত জোড় করে নমস্কার করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং দমকলের কর্মীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতার দিক থেকে হাওড়া ব্রিজে উঠেছিলেন যুবক। হেঁটে হেঁটে চলে আসেন হাওড়ার দিকে। তাঁকে দেখতে এলাকায় রীতিমতো ভিড় জমে গিয়েছিল। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর তাঁকে ব্রিজ থেকে নামানো সম্ভব হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে যুবক জানান, তাঁর নাম সাধি কুমার। বয়স ২২ বছর। তিনি বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা। কাজ করতে এ রাজ্যে এসেছিলেন। তাঁর বাড়িটা দেখা যাচ্ছে কি না, উঁচু হাওড়া ব্রিজের মাথায় উঠে সেটাই দেখার চেষ্টা করছিলেন বলে জানান যুবক।
তাঁকে উদ্ধারের পর হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ দিয়ে তাঁর চিকিৎসা করানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। কেন, কী ভাবে তিনি বিহার থেকে এ রাজ্যে এসে পড়েছেন, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুধবারের ঘটনার পর হাওড়া ব্রিজের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।