প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা না হলেও কোমর বেঁধে আসরে নেমে পড়ছে সব রাজনৈতিক দল। এই পরিস্থিতিতে যুযুধান দুই শিবির বিজেপি ও তৃণমূলকে একই বন্ধনীতে এনে ফেলল ডাকবিভাগের সামান্য পোস্টকার্ড। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়ে হাজার হাজার চিঠি দিতে চলেছে দু’পক্ষই!
পঞ্চায়েত ভোটকে নজরে রেখেই ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি চালু করেছে তৃণমূল। গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনছেন দলের নেতারা। অন্য দিকে, বিজেপিও বুথ সশক্তিকরণ কর্মসূচি চালাচ্ছে। এ বার জনসংযোগের অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে ডাকবিভাগের পোস্টকার্ডকে বেছে নিল দুই দল।
দলগত ভাবে গেরুয়া শিবির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বুথ স্তরের নেতারা এলাকায় পোস্টকার্ড বিলি করবেন। সেই পোস্টকার্ডে কেন্দ্রের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন দুর্নীতির কথা লিখতে বলা হবে। পরে তা পৌঁছে দেওয়া হবে দিল্লির ৭, লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঠিকানায়।
বিজেপির এই কর্মসূচি ঘোষণা হওয়ার পরেই পাল্টা সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসক শিবির। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রধানমন্ত্রীকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়ে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, পেট্রল, ডিজ়েল ও রান্নার গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, আধার ও প্যান সংযোগের খরচ বাবদ এক হাজার টাকা নেওয়ার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই মোদীকে পোস্টকার্ড পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কলেজে দলের ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বকে এই কর্মসূচি সংক্রান্ত নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ঠিকানায় পাঠানো হবে এই পোস্টকার্ড। নিজস্ব চিত্র।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কী করছে, তাতে কিছু যায়-আসে না। ওরা যুব সমাজকে বিপথে চালিত করছে। চাকরি দুর্নীতির প্রতিবাদ জানাতে যুবসমাজ আজ রাজপথে। অযোগ্যরা চাকরি পেয়ে যাচ্ছেন। আবাস থেকে সড়ক সব ক্ষেত্রে এ রাজ্যে লুট চলছে। মানুষ তার প্রতিবাদে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে চিঠি পাঠাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে।’’ পাল্টা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তীর্থঙ্কর কুন্ডু বলেন, “পেট্রল ডিজেলের দাম একশো ছাড়িয়েছে। রান্নার গ্যাসের দাম প্রায় সাড়ে এগারোশো। আধার-প্যান লিঙ্ক করাতে গেলে হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। দেশ বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য তো প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়।”