Celebrity Life

স্বস্তিকাদির পোস্ট পড়ে বাবাকে মনে পড়ল, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন: অনুরাধা

“বাবা খুবই প্রাণবন্ত ছিলেন। ২০২৩-এ নিউমোনিয়া হওয়ার পর থেকেই যেন ভিতরে ভিতরে বদলাতে শুরু করলেন”, বক্তব্য অভিনেত্রীর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫৭
Share:

বাবাকে নতুন করে মনে করলেন অনুরাধা মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

রবীন্দ্রনাথের ‘মনে পড়া’ কবিতার সঙ্গে মিল রয়েছে অভিনেত্রীর অনুরাধা মুখোপাধ্যায়ের। খুব ছোটবেলায় মাকে হারিয়ে ফেলেছেন। ‘মাকে আমার পড়ে না মনে...’ তাই তাঁর। কষ্ট করে মনে করতে হয়। বাবা-ই তাঁর কাছে ‘মা’ ছিলেন। গত জুন মাসে তিনিও প্রয়াত। সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনে নতুন করে হারিয়ে ফেলা বাবাকে মনে করলেন অভিনেত্রী। সমাজমাধ্যমে সেই শোকের ছায়া, “ইমার্জেন্সি কলে দুটো নম্বর ছিল। একটাতে কল করা বন্ধ ১৪ বছর আগে। আর একটা ২০২৪-এ। বুঝতেই পারি না, খুব কষ্ট হলে কলটা কাকে করব?”

Advertisement

অনুরাধা কাকে হারিয়ে ফেললেন? কার জন্য কাজের মধ্যেও মনখারাপ তাঁর? কার অভাব তাঁকে একা করে দিয়েছে?

আনন্দবাজার অনলাইন শুনতে চেয়েছিল তাঁর কাছে। অনুরাধা ব্যস্ত ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকের শুটিংয়ে। ফোনে বললেন, “সোমবার প্রয়াত অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ওঁর বাবাকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টটি পড়তে পড়তেই গত জুনে হারিয়ে ফেলা বাবার কথা নতুন করে মনে পড়ল। বাবাই আমার মা, আমার বাবা— সব ছিলেন।” বাবা তাঁর সঙ্গে কলকাতার ফ্ল্যাটে থাকতেন। গত ডিসেম্বরে বাবা নেই বলে অনুরাধা কেক খাননি। “এ বার পিঠেপুলিও খাওয়া হয়নি। বাবা পিঠে খেতে খুবই ভালবাসতেন। ওঁকে ফেলে কী করে খাই!”

Advertisement

কেমন ছিলেন অভিনেত্রীর বাবা? প্রশ্ন রাখতেই স্মৃতিমগ্ন তিনি। বললেন, “খুবই প্রাণবন্ত। খুব মিশুকে, হাসিখুশি। একা হাতে আমায় বড় করেছেন। ব্যারাকপুরে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে আমার জন্য কলকাতায় চলে এসেছেন। বেড়াতে খুব ভালবাসতেন, আর খেতে। এলাহাবাদ, প্রয়াগ-সহ অনেক জায়গা বাবার সঙ্গে ঘুরেছি।” ২০২৩-এ অনুরাধার বাবা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। টানা চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে, তখন থেকেই দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। শুধুই শরীর নয়, মনের দিক থেকেও, জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

২০২৪-এর জুনে অভিনেত্রীর বাবার আচমকা পেটের সমস্যা শুরু। অভিনেত্রী ভেবেছিলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকে হয়তো অসুস্থ তিনি। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরে জানতে পারেন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ থেকেই এই অসুস্থতা। চিকিৎসকদের পরামর্শে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারও হয়। “বাবা হাত ধরে বলেছিলেন, ‘বাড়ি যাব। আমায় বাড়ি নিয়ে চল।’ বাবার আবদার রাখতে পারিনি। আমার ‘নীহারিকা’ ছবিটিও দেখে যেতে পারেননি। স্বস্তিকাদির পোস্ট পড়ে সেই কথাগুলোও নতুন করে মনে পড়ে গেল”, বক্তব্য অনুরাধার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement