মৃত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু।
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যা মামলায় আজ, বৃহস্পতিবার থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হচ্ছে। মামলার সরকারি আইনজীবী নন্দলাল সিংহানিয়া বলেন, ‘‘পুরুলিয়া আদালতে বৃহস্পতিবার থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।’’
গত ১৩ মার্চ সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়ে ঝালদা-বাঘমুণ্ডি রাস্তার গোকুলনগরের অদূরে আততায়ীদের গুলিতে খুন হন ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। মোটরবাইকে এসে খুব কাছ থেকে আততায়ীরা তপনকে গুলি করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
ঘটনার পরে জেলা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়ে তদন্ত শুরু করলেও পরবর্তীকালে হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। তদন্তে নেমে খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সিট তপনের ভাইপো (২ নম্বর ওয়ার্ডে তপনের বিপক্ষে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন) দীপক কান্দু, তপনের দাদা নরেন কান্দু, কলেবর সিংহ ও মহম্মদ আশিক খানকে গ্রেফতার করে।
সিট দাবি করেছিল, ভাইকে খুনের জন্য তার পরিচিত মহম্মদ আশিক খান নামে এক ব্যক্তিকে সুপারি দিয়েছিল নরেন। আশিক যোগাযোগ করে কলেবরের সঙ্গে। তার মাধ্যমেই সুপারি কিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার গ্রহণের পরে সিবিআই তপনের বন্ধু সত্যবান পরামাণিক নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। পুরুলিয়া আদালতে সিবিআই এই মামলায় যে প্রাথমিক চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে এই পাঁচ অভিযুক্তের নামই রয়েছে। প্রত্যেকেই বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে।
অন্যদিকে ১৩ মার্চ তপনের সঙ্গে যে পাঁচ জন সান্ধ্যভ্রমণে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে নিরঞ্জন বৈষ্ণব নামে এক ব্যক্তির পরে ঝুলন্ত দেহ মেলে। সেই মামলারও তদন্ত করছে সিবিআই। ঘটনার বাকি চার প্রত্যক্ষদর্শী প্রদীপ চৌরাশিয়া, সুভাষ গড়াই, সুভাষ কর্মকার ও যাদব রজককে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। বুধবারও তাঁদের চার জনকে ফের ঝালদায় সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে তলব করা হয়।
এ দিন তাঁরা সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ওই শিবিরে ছিলেন। পরে তাঁদেরই এক জন প্রদীপ চৌরাশিয়া বলেন, ‘‘আগেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের ডাকা হয়েছিল। এ দিনও তলব করা হয়েছিল। এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।’’ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সুভাষ গড়াইয়ের সাক্ষ্যগ্রহণ হতে পারে। খুনের ঘটনার পরে তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ।