প্রতীকী ছবি।
নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে দশ বছর কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। শনিবার বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক (২) অরুণকিরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে ওই রায়দান হয়।
সরকারপক্ষের আইনজীবী লক্ষ্মীনারায়ণ গোস্বামী জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি সুকুমার সরেন তালড্যাংরার ঢ্যাঙাশোল এলাকার বাসিন্দা। ১৩ বছরের এক নাবালিকার বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। এমনকি, সেই দৃশ্য মোবাইলে রেকর্ডও করে রেখেছিল সে। অভিযোগ, সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে ওই নাবালিকাকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছিল সুকুমার। নাবালিকাকে নিজের বাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। কোনও ভাবে ওই নাবালিকা পালিয়ে বাড়ি ফিরে ঘটনার কথা জানায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের ২ অগস্ট সুকুমারের বিরুদ্ধে তালড্যাংরা থানায় নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরের দিন গ্রেফতার করা হয়েছিল সুকুমারকে। নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয় আদালতে। ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর মামলার চার্জশিট দাখিল হয়। সুকুমারকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয় আদালত। কিন্তু আদালতে সঠিক সময়ে হাজিরা না দেওয়ায় পরে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। পুলিশ ফের তাকে গ্রেফতার করে। তার পরে আর জামিন পায়নি সুকুমার।
লক্ষ্মীনারায়ণবাবু বলেন, “বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছর কারাদণ্ড ও নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানার (অনাদায়ে আরও এক বছর জেল) সাজা দিয়েছেন। নির্যাতিতাকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।”