বোলপুরে মিষ্টির দোকানে ভিড় (বাঁ দিকে), সিউড়িতে তৈরির ব্যস্ততা। নিজস্ব চিত্র।
বিজয়া দশমীর মিষ্টি-মুখে বাধ সেধেছে করোনা। এ বার ভাইফোঁটায় বাজার কেমন থাকবে সেটাই ভাবিয়ে তুলছে জেলার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের। কারণ এখনও প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
উৎসবের মরসুমে করোনা এমনিতেই চিন্তায় রেখেছে প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্যকর্তাদের। এই আবহে কালীপুজো ও দীপাবলি পেরিয়ে আজ, সোমবার ভাইফোঁটার উৎসবে মেতে উঠবেন সকলে। সেখানেই বিক্রি নিয়ে ভাবনায় জেলার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। তবে তাঁদের আশা দশমীতে যে হারে বাজার মন্দা গিয়েছে, তার তুলনায় ভাইফোঁটার বাজার অনেকটাই ভাল যাবে। সেই মতো প্রতি বছরের মতো এ বারও মিষ্টির দোকানগুলিতে অন্যান্য মিষ্টির পাশাপাশি ভাইফোঁটা উপলক্ষে ভাইফোঁটা লেখা সন্দেশ, ক্ষীরের সন্দেশ, প্রাণভোগ, বড় রাজভোগ, আবার খাবো প্রভৃতি মিষ্টি করা হচ্ছে।
সিউড়ি, বোলপুর ও রামপুরহাট শহরের মিষ্টির দোকান গুলিতে এখন তারই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বোলপুরের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী শ্যামল মণ্ডল, উদয়শঙ্কর মোদকরা বলেন, ‘‘আশা করছি ভাইফোঁটার বাজার ভাল হবে।’’ একই কথা শোনা গিয়েছে সিউড়ির মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী বাপী ঘোষালের মুখেও। পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির বীরভূম জেলা সম্পাদক সঞ্জয় পোদ্দার বলেন “অন্য বার ভাইফোঁটার এক দিন আগে থেকে অর্ধেকের বেশি মিষ্টি বিক্রি হয়ে যায়। এ বছর এখনও পর্যন্ত তা হয়নি। তাই বাজার কেমন যাবে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।’’