পরীক্ষা অনলাইনে হবে। তাতেই কলেজের সামনে আবির নিয়ে উছ্বাস। সিউড়িতে। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলেজের অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি নিয়ে আন্দোলন চলছিল। সেই দাবি পূরণ হতেই আবির খেলে উচ্ছ্বাসে মাতলেন সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা। কলেজ সূত্রের খবর, বুধবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মৌখিক ভাবে অনলাইনে পরীক্ষার কথা জানানো হয়েছে। তবে এখনও লিখিত নোটিস দেওয়া হয়নি।
কলেজে অনলাইন না অফলাইনে পরীক্ষা হবে, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। কলেজ পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ চাইছিলেন, অনলাইনে পরীক্ষা হোক। এই পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দেয়, দুই, চার এবং ছ'নম্বর সিমেস্টারের পরীক্ষা অফলাইনে হবে। সেই নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ অনলাইনে পরীক্ষার দাবিতে কলেজগুলিতে আন্দোলন শুরু করে। কলেজের অধ্যক্ষের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। ওই ছাত্র সংগঠনের দাবি, অফলাইনে ক্লাস সেই অর্থে হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে সিলেবাসও শেষ হয়নি।এই পরিস্থিতিতে অফলাইনে পরীক্ষা দেওয়া অধিকাংশ পড়ুয়ার পক্ষেই সম্ভব নয়।
অবশেষে বুধবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সিদ্ধান্ত বদলে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানানোর পরেই উল্লাসে মাতেন কলেজ পড়ুয়াদের অনেকে। সেই খুশিতে এ দিন সকালে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে বিদ্যাসাগর কলেজ চত্বরে আবির খেলা হয়। কলেজের ছাত্রনেত্রী ঋত্বিকা রায় বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দাবি মেনে অনলাইনে পরীক্ষার কথা ঘোষণা করেছেন। সেই খুশিতে আবির খেলার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের আনন্দ ব্যক্ত করেছি।’’
অনলাইনে পরীক্ষার কথা ঘোষণা করলেও ছাত্রছাত্রী ও অধ্যাপকদের একাংশ এই নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য অনলাইনে পরীক্ষা হলে সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব নয়। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তাহলে অনলাইনে পরীক্ষার পরিবর্তে পড়ুয়াদের পড়াশোনার জন্য সময় দিয়ে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া উচিত ছিল। তাহলে সবার সুবিধা হত। ওয়েবকুটার (পশ্চিমবঙ্গ কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি) জেলা সম্পাদক শুভেন্দু ঘোষ বলেন, ‘‘অবশ্যই অফলাইনের পক্ষে ছিলাম। সেটা হলে যে-সব ছাত্রছাত্রী ঠিকমতো পড়াশোনা করেছে, তাদের সুবিধা হত। ঠিক মূল্যায়ন হত।’’ তাঁর দাবি, যে সমস্ত পড়ুয়া প্রস্তুতি নেয়নি, তাঁরাই অনলাইনে পরীক্ষার দাবি জানিয়েছিলেন।