ফিনান্স অফিসারের ফাঁকা চেয়ার। নিজস্ব চিত্র
‘চেকে’ সই করা নিয়ে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা ফের অচলাবস্থার মধ্যে পড়েছে। পুরপ্রধান প্রদীপ কর্মকারের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে এখনও পুরভবনের ছায়া মাড়াননি নির্বাহী আধিকারিক রাজকুমার চৌধুরী। এরই মধ্যে পুরসভার ফিনান্স অফিসার অধীশ মিশ্র তাঁর মায়ের অসুস্থতাজনিত কারণে সোমবার থেকে টানা ১৯ দিনের ছুটিতে চলে যাওয়ায় ফের সমস্যার দোলাচলে জেলার প্রান্তিক ওই পুরসভা।
এত দিন পুরপ্রধান ও নির্বাহী আধিকারিক যৌথ ভাবে চেকে সই করতেন। কিন্তু মাসখানেক আগে রাজ্যের পুরদফতর এক নির্দেশ দিয়ে জানায়, পুরপ্রধান নয়, পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক ও ফিনান্স অফিসার এ বার থেকে চেকে সই করবেন। কিন্তু তারপরেই ঝালদার নির্বাহী আধিকারিক অভিযোগ তোলেন, কিছু আপত্তিকর কাজের চেকে পুরপ্রধান তাঁকে সই করতে চাপ দিচ্ছেন। বিষয়টি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে তিনি জানান। তারপরে নিরাপত্তার অভিযোগ তুলে তিনি পুরভবনে যাওয়া বন্ধ করে দেন। তার বদলে এসডিও অফিসে বসছেন।
এই পরিস্থিতিতে পুরকর্মীদের বেতন দেওয়া আটকে যায়। পুরসভার উন্নয়নমূলক কাজও ব্যাহত হয় বলে পুরপ্রধানের অভিযোগ। শেষে তিনি রাজ্যের পুর দফতরে সমস্যার কথা জানানোয়, শর্তসাপেক্ষে ঝালদার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়, পুরপ্রধান ও ফিনান্স অফিসার যৌথ ভাবে সই করতে পারবেন।
তাতে কর্মীদের আটকে যাওয়া বেতন মেলে। কিছু কাজেরও চেকে সই হয়। কিন্তু ফিনান্স অফিসার ছুটিতে চলে যাওয়ায় আবার চেকে সই করা আটকে গেল বলে মনে করছেন পুরসভার অনেকেই।
পুরসভা সূত্রে খবর, ফিনান্স অফিসারের বাড়ি কলকাতায়। তাঁকে ফোন করা হলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শুধু বলেন, ‘‘যা বলার পুরসভাকে জানিয়েছি।’’
পুরসভার কর্মীদের একাংশের কথায়, ‘‘থমকে থাকা কাজে গতি এসেছিল। কিন্তু ফিনান্স অফিসার লম্বা ছুটিতে চলে যাওয়ায় ফের সঙ্কট তৈরি হয়েছে।’’ পুরপ্রধান প্রদীপ কর্মকারের দাবি, ‘‘সমস্যার কথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে জানানো হয়েছে। শীঘ্রই এক জন নতুন নির্বাহী আধিকারিক পুরসভায় কাজে যোগ দেবেন বলে তারা আমাকে জানিয়েছে। নতুন আধিকারিক কাজে যোগ দিলেই সমস্যা মিটে যাবে।’’