মইনউদ্দিন মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
চিনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে প্রবল উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কে রয়েছে দুবরাজপুরের খণ্ডগ্রামের এক দম্পতি। শেখ গিয়াসউদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী শমিমা বেগমের দুশ্চিন্তার প্রধান কারণ তাঁদের একমাত্র ছেলে মইনউদ্দিন মণ্ডল চিনে আটকে রয়েছেন। শিন জিয়াং মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএসের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র তিনি। তবে উৎকণ্ঠা শেষ হতে খুব একটা সময় লাগার কথা নয়। আজ শুক্রবার বাড়ি ফেরার জন্য রাতেই কলকাতাগামী বিমান ধরবেন তিনি। চিনের অবস্থার কথা শুনেই মঙ্গলবার ছেলের টিকিট কেটে পাঠিয়েছেন গিয়াসউদ্দিনবাবু। শনিবার দুপুরের মধ্যে ছেলের বাড়িতে পৌঁছে যাওয়ার কথা। ছেলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরুক সেটাই এখন বাবা-মায়ের একমাত্র চাহিদা।
দুবরাজপুর পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একসময়ের দাপুটে নেতা ছিলেন গিয়াস। কিন্তু বাবার মতো রাজনীতি নয়, ছেলে মইনউদ্দিনের ঝোঁক ছিল চিকিৎসক হওয়ার। জয়েন্ট দিয়ে ডেন্টাল কলেজে পড়ার সুযোগ পেলেও এমবিবিএসকে পাখির চোখ করেছিলেন তরুণ। পাছে সময় নষ্ট হয়, সেই ভেবে চিনের ওই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেন ছেলেকে। সেটা ২০১৫ সালের ডিসেম্বর। ওই দম্পতি বলেন, ‘‘চিনে যাওয়ার থেকে বছরে একবার করেই বাড়ি আসত ছেলে। শেষবার এসেছিল গত বছর অগস্টে। কিন্তু জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে করোনা ভাইরাসের হানায় আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকায় এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ায় আর নিজেদের স্থির রাখতে পারছি না।’’ নিয়মিত ছেলের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা। ছেলে এখনও ভালই আছে। চিন সরকার দেখভাল করছে। কর্তৃপক্ষের তরফে মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল থেকে বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে ডাক্তারি পড়ুয়াদের । কিন্তু হাসপাতালে ক্রমশ ওই ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এই খবর কানে আসতেই পত্রপাঠ ছেলেকে দেশে ফিরতে বলেছেন ওই দম্পতি। এখন অপেক্ষা শনিবার সকালের।