বিতর্কিত: খালি হাতে বোমা ধরার এই ছবিই ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে। আনন্দবাজার ছবির সত্যতা যাচাই করেনি।
বাম-কংগ্রেসের যৌথ মিছিলে যোগ দেওয়ায় দুই কংগ্রেস কর্মীকে গ্রামছাড়া করা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। তৃণমূল নেতাও কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে তাঁর বাড়িতে হামলার অভিযোগ তুলেছেন। শান্তিনিকেতন থানার লোহাগড়ের ঘটনা।
ঘটনাচক্রে এই লোহাগড় থেকেই মঙ্গলবার রাতে কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। বম্ব স্কোয়াডকে না-ডেকে এবং কোনও রকম সতর্কতা ছাড়াই এক পুলিশকর্মী খালি হাতে সেই বোমা নিষ্ক্রিয় করছেন—এমন একটি ভিডিয়ো ফুটেজ ছড়িয়েছে। ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার। তবে, পুলিশকর্মীর ওই কাণ্ডে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। এর আগে এই জেলাতেই বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল এক পুলিশকর্মীর। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় যদিও বলেন, “বোমাগুলি পুলিশ নিষ্ক্রিয় করেনি। সেটা বম্ব স্কোয়াডই নিষ্ক্রিয় করবে। তবে অতিরিক্ত গরমে বোমাগুলি যাতে ফেটে না-যায়, তার জন্য জল দিয়ে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বোলপুরে বাম-কংগ্রেসের ডাকে একটি সম্প্রীতি মিছিল হয়। ওই মিছিলে বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি লোহাগড় এলাকা থেকেও কিছু কংগ্রেস কর্মী যোগ দিয়েছিলেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, ওই রাতেই তাদের দুই কর্মীকে অন্য দলের মিছিলে গেলে গ্রামছাড়া করা এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। কংগ্রেস কর্মীরা বুধবার শান্তিনিকেতন থানায় তৃণমূলে বুথ সভাপতি শেখ আবদুল্লা সহ বেশ কয়েক জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেন। কংগ্রেসের বোলপুর শহর-সভাপতি শিবকিঙ্কর সাহার দাবি, “সম্প্রীতি মিছিলে যোগ দিয়েছিল বলে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী নিয়ে আমাদের কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে শাসিয়ে এসেছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিষয়টা আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।”
অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ আব্দুল্লার পাল্টা দাবি, তাঁর বাড়িতে লোহাগড় অঞ্চলে কংগ্রেস কর্মীর মঙ্গলবার রাতে হামলা চালান। তাঁর অভিযোগ, ‘‘রূপপুর অঞ্চলে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী আমি। অঞ্চল দখল করতে কংগ্রেসের লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমিও পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।”