রাতের আগুনে ছাই কাঠমিল, পুড়ল টোটোও

মিলে থাকা চারটি টোটো এবং একটি বাইকেও আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা দমকল বাহিনীকে ফোন মারফত জানানোর চেষ্টা করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:০৫
Share:

পুড়ে খাক সিউড়ির সুভাষপল্লির কাঠমিল। নিজস্ব চিত্র

ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি কাঠমিল। পুড়ে ছাই হল বহুমূল্যের কাঠ, আসবাব-সহ চারটি টোটো এবং একটি মোটরবাইক। মঙ্গলবার গভীর রাতে সিউড়ি শহরের সুভাষপল্লি এলাকায় আগ্নিকাণ্ডটি ঘটে। পরবর্তীতে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘণ্টা চারেকের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু, দমকল বাহিনী প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে এসেছে, এই অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

Advertisement

সুভাষপল্লিতে সিউড়ি-দুবরাজপুর রাস্তার উপরেই ওই কাঠমিলটি। কাঠমিলের মালিক অমর শর্মা বুধবার জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর কাঠমিলের বিদ্যুতের মিটার বক্সে শর্ট সার্কিটের সমস্যা হচ্ছিল। মাঝে মধ্যেই সেখান থেকে আগুন বেরোচ্ছিল। সেই মর্মে তিনি বিদ্যুৎ দফতরে অভিযোগও জানান। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই মিটার বক্স থেকেই আগুন লেগে যায় বলে

তাঁর দাবি। অমরবাবু বলেন, ‘‘প্রথমে আমরা কিছুই বুঝতে পারেননি। রাত ১টা নাগাদ হঠাৎ তীব্র শব্দ শুনেই আমরা বেরিয়ে আসি। দেখি, মিটার বক্স ফেটে গিয়ে গোটা মিলে আগুন ধরে গিয়েছে।’’ তিনি জানান, মিলে থাকা চারটি টোটো এবং একটি বাইকেও আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা দমকল বাহিনীকে ফোন মারফত জানানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ফোনের সংযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Advertisement

ততক্ষণে আশপাশের অনেক লোক বেরিয়ে এসেছেন। পরিস্থিতি বুঝে স্থানীয়েরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনার অনেকটা পরে পৌঁছয় দমকলের ইঞ্জিন। কিন্তু ততক্ষণে আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে কাঠের আসবাবপত্র-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুনের শিখা প্রায় দোতলা বাড়ির ছাদ পর্যন্ত উঠে যায়। একে একে

ওই মিলে থাকা টোটো এবং বাইক পুড়ে ছাই হয়ে যায়। চারপাশে তখন আগুনের সাংঘাতিক তাপ। রাত আড়াইটা নাগাদ এলাকায় দমকলের একটি ইঞ্জিন আসে, তার পরেই আরও দু’টি দমকলের ইঞ্জিন আসে। দমকল কর্মীদের প্রায় চার ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর বুধবার সকালের দিকে আগুন নেভানো সম্ভব হয়।

এ দিন সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল কাঠমিলের অধিকাংশ জিনিসেরই কোনও অস্তিত্ব নেই। আগুনে সবই ভস্মীভূত হয়েছে। মিলের মালিকের দাবি, যে পরিমাণ সামগ্রী পুড়েছে, তাতে তাঁর প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হল। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘চোখের সামনে সব কিছু শেষ হয়ে গেল! কিচ্ছু করতে পারলাম না। দমকল একটু আগে এলে হয়তো এতটা ক্ষতি হত না।’’ দমকলের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে দেরিতে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement