বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় মল্লিক। — নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় মল্লিক জানালেন, নিজের এক্তিয়ার এখনও তাঁর কাছে স্পষ্ট নয়। ফলক বিতর্কে তাঁর অবস্থান কী, প্রশ্ন করা হয় সঞ্জয়কে। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলতে চাননি। বরং জানিয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসাবে তাঁর এক্তিয়ার কতটুকু তা এখনও তিনি নিজেই জানেন না। ফলে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না সঞ্জয়।
উপাচার্য হিসাবে বিশ্বভারতীতে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হয়েছে। অন্তর্বর্তিকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলাভবনের অধ্যক্ষ তথা অধ্যাপক সঞ্জয়কে। দায়িত্ব পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার তিনি প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে ফলক প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি অন্তর্বর্তী উপাচার্য। আমি যত দূর জানি, অন্তর্বর্তী উপাচার্যের দায়িত্ব, কর্তব্য স্থায়ী উপাচার্যের চেয়ে কম। আমার দায়িত্ব কী, কোনটা করতে পারব, কোনটা পারব না, তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের দেওয়া সংক্ষিপ্ত চিঠিতে স্পষ্ট নয়। তাদের কাছে একটি স্পষ্টীকরণ চাওয়া হয়েছে। তা পেলে আমি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব। তার আগে সম্ভব নয়। কারণ আমি আমার এক্তিয়ার এখনও জানি না।’’
তবে এর পাশাপাশি সঞ্জয় বলেছেন, ‘‘আমি শান্তিনিকেতনের সংস্কৃতির কথা বলব। যিনি এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন তাঁর মর্যাদা রাখতে হবে। কিছু দিন আগে যে স্বীকৃতি আমরা পেয়েছি, তা যেন সহজে হারিয়ে না ফেলি।’’
বিদায়ী উপাচার্যের সঙ্গে কথা হয়েছে? সঞ্জয় জানান, বিদ্যুৎ তাঁকে নতুন দায়িত্বের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি ফোন এবং একটি মেসেজ করেছেন। এ ছাড়া আর কোনও আলোচনা হয়নি। সঞ্জয় বলেন, ‘‘আমার প্রধান এবং প্রাথমিক দায়িত্ব হল সেই পদ্ধতিটা চালু করা, যার মাধ্যমে স্থায়ী উপাচার্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেন। এটার জন্য দু’টি বৈঠক করতে হয়। যত শীঘ্র সম্ভব সেই কাজটি আমি করে দিতে চাই। কারণ আমি মূলত শিক্ষক। আমি চাই সম্পূর্ণ দায়িত্ব এবং ক্ষমতা-সহ এক জন স্থায়ী উপাচার্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসুন এবং তা বিশ্ববিদ্যালয়কে সঠিক দিশা দিন।’’
শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা এবং বসন্ত উৎসব সম্পর্কে নতুন উপাচার্যের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়েছিল। সঞ্জয় এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি। ঘুরিয়ে বলেন, ‘‘আমি কলাভবনের ছাত্র। এটুকুই বলব।’’