Theft

দোতলার ঘরে চুরি করে এক তলায় ঢুকতেই ঘুম ভাঙল বাড়ির কর্তার, চোরের সঙ্গে ধস্তাধস্তি! তার পর?

বাড়ির কর্তা সুধীর রুজ এবং তাঁর স্ত্রী থাকেন এক তলায়। পাশের ঘরে থাকেন বড় ছেলে সুশান্ত রুজ। দোতলার দুটি ঘর রয়েছে। তার একটিতে থাকতেন ছোট ছেলে কাজল রুজ। চোর প্রথমে ঢোকে দোতলার সেই ঘরে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪ ১৮:৫৪
Share:

চুরির পর লন্ডভন্ড হওয়া ঘর দেখাচ্ছেন বাড়ির সদস্য। —নিজস্ব চিত্র।

রাতের অন্ধকারে ছাদ বেয়ে দোতলার ঘরে ঢুকে চুরি করে এক তলার ঘরে ঢুকেছিল চোরেরা। ঠিক তখনই ঘুম ভেঙে যায় গৃহকর্তার। ধস্তাধস্তি করেও চোরকে আটকে রাখতে পারেননি বৃদ্ধ। ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে পালায় চোরেরা। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের দুবরাজপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নাপিতপাড়া এলাকায়। বাড়িমালিকের অভিযোগ, লক্ষাধিক টাকা-সহ সোনার গয়না চুরি হয়েছে বাড়ি থেকে। দোতলার ঘরের আলমারি খুলে ৫০ হাজার টাকা নগদ, সোনার গয়না নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। পাশের শোকেসে থাকা চারটি লক্ষ্মীভাঁড়ও চুরি হয়েছে। তবে বেশ কিছু গয়না চুরির পর বাড়ির বাইরে ফেলে দিয়ে গিয়েছে চোর। কারণ, সেগুলো ইমেটেশনের গয়না।

Advertisement

বাড়ির কর্তা সুধীর রুজ এবং তাঁর স্ত্রী থাকেন এক তলায়। পাশের ঘরে থাকেন বড় ছেলে সুশান্ত রুজ। দোতলার দুটি ঘর রয়েছে। তার একটিতে থাকেন ছোট ছেলে কাজল রুজ। সুধীর জানান, তবে ঘরগুলো ছোট হওয়ার কারণে ছোট ছেলে অন্য একটি জায়গায় আবাস যোজনায় পাওয়া বাড়িতে থাকেন। শাঁখার ব্যবসা করেন ছোট ছেলে। তাই দোতলার ঘরগুলো ফাঁকাই ছিল। তবে পুজোর সময় ব্যবসায় কাজে লাগাবেন বলে দোতলার একটি ঘরে ৫০ হাজার টাকা রেখেছিলেন কাজল। তা ছাড়া চারটি লক্ষ্মীভাঁড়ে সব মিলিয়ে জমিয়েছিলেন প্রায় এক লক্ষ টাকা। সে সবই নিয়ে গিয়েছে চোরেরা।

যে আলমারি থেকে নগদ টাকা চুরি হয়েছে, তাতে তালা লাগানো ছিল না। সহজেই সেখান থেকে টাকা নিয়ে পালায় চোরেরা। তবে দোতলার আর একটি ঘরের তালা খুললেও সেখান থেকে কিছু নিতে পারেনি তারা। চুরির পর এক তলার ঘরে যেখানে গৃহকর্তা এবং তাঁর স্ত্রী ঘুমিয়েছিলেন, সেখানে ঢোকে চোরেরা। ওই ঘরের আলমারি খোলার পর চুরি করার চেষ্টা করতেই ঘুম ভেঙে যায় দম্পতির। চোরদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় ৭৬ বছর বয়সি গৃহকর্তার। তখন তাঁকে লোহার একটি বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করতে যায় চোরেরা। তিনি কোনও ক্রমে মাথা সরিয়ে নিলে আঘাত লাগে তাঁর হাতে। সুধীরের চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা বড় ছেলে ঘুম থেকে উঠে বাইরে আসছিলেন। কিন্তু তত ক্ষণে তাঁর ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে চম্পট দেয় চোরেরা।

Advertisement

শনিবার দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছে রুজ পরিবার। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও এই ঘটনায় কারও আটক বা গ্রেফতারির কোনও খবর মেলেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement