Blast

চলন্ত বাইকে আচমকা বিস্ফোরণ! ছিন্নভিন্ন চালকের দেহ, বাঁকুড়ায় দুর্ঘটনার নেপথ্যে কোন রহস্য?

শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রচণ্ড জোরে শব্দ হয়। প্রাথমিক ঘোর কাটিয়ে লাপাহাড়ি মোড়ের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা রাস্তায় বেরোতেই দেখেন, বাঁকুড়া-শালতোড়া রাজ্য সড়কের একপাশে পড়ে রয়েছে বিস্ফোরণে কয়েক টুকরো হয়ে যাওয়া একটি বাইক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শালতোড়া শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৪ ১১:৫৬
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

চলন্ত বাইকে আচমকাই বিস্ফোরণ! তাতে মৃত্যু হল বাইকচালকের। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার শালতোড়া থানার লাপাহাড়ি মোড় লাগোয়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম জয়দেব মণ্ডল। কী কারণে এই বিস্ফোরণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্য দিকে, বিজেপি অভিযোগ করেছে বিস্ফোরক ফেটে গিয়েই এই দুর্ঘটনা হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। প্রচণ্ড জোরে শব্দ হয়। প্রাথমিক ঘোর কাটিয়ে লাপাহাড়ি মোড়ের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা রাস্তায় বেরোতেই দেখেন বাঁকুড়া-শালতোড়া রাজ্য সড়কের একপাশে পড়ে রয়েছে বিস্ফোরণে কয়েক টুকরো হয়ে যাওয়া একটি বাইক। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন বাইকচালক। তাঁকে দেখে চিনতে পারেন ব্যবসায়ীরা। ৫২ বছরের জয়দেব স্থানীয় বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জয়দেবের একটি পা হাঁটুর নীচ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে শালতোড়া থানার পুলিশ জয়দেবকে উদ্ধার করে শালতোড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখান থেকে জখম বাইকচালককে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর পরই বিস্ফোরণস্থল ঘিরে রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। লাপাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার মান্ডি বলেন, ‘‘শুক্রবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পর শুয়েছিলাম। আচমকা প্রবল জোরে একটা শব্দ হয়। কী থেকে এমন শব্দ, বুঝতে পারিনি। ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি, পুলিশ গোটা এলাকাটি ঘিরে দিয়েছে।’’ লাপাহাড়ি মোড়ে চেম্বার হাতুড়ে চিকিৎসক শুভেন্দু মুখোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘‘জয়দেব মণ্ডলের বাড়ি আমার গ্রামেই। শুক্রবার রাতে টিভি দেখার সময় প্রবল শব্দ শুনতে পাই। তার পর জানতে পারলাম, বিস্ফোরণে ওর মৃত্যু হয়েছে। কী ভাবে এমনটা ঘটল জানি না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement