নবান্ন অভিযানে গিয়ে ধৃত শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
পুলিশ হেফাজতে গত তিন দিন ধরে অনশনে রয়েছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্য শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে হাওড়া থানা থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জেলা হাসপাতালে। কিন্তু অসুস্থ অবস্থাতেও ‘জলস্পর্শ’ না করায় শুভঙ্করের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে বলে খবর। শুক্রবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ওই সদস্যকে হাওড়া জেলা হাসপাতাল থেকে এসএসকেএম অথবা কলকাতা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর ডাকে নবান্ন অভিযানে শামিল হয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যেরাও। তাঁরা হাওড়া স্টেশন থেকে ফরশোর রোড হয়ে নবান্নের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধি শুভঙ্কর অন্যান্য আন্দোলনকারীর সঙ্গে যখন ঠিক হাওড়া ময়দান এলাকায়, তখনই পুলিশের সঙ্গে গন্ডগোল শুরু হয় তাঁদের। পুলিশ লাঠিচার্জ করলে আহত হন কাঁকসা বিডিও অফিসের কর্মী শুভঙ্কর। তবে পুলিশকে মারধরের অভিযোগে মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করে হাওড়া থানার পুলিশ। বুধবার হাওড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক শুভঙ্করকে এক দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার আবার শুভঙ্করকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। তার পর থেকে হাওড়া থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন শুভঙ্কর।
পুলিশের একটি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুভঙ্কর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে হাসপাতালে গিয়েও তিনি অনশন চালিয়ে যান। পাশাপাশি মাথায়, হাতে এবং পায়ে আঘাত রয়েছে ওই যুবকের। এই অবস্থায় হাওড়া জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা অন্য হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যেরা জানিয়েছেন তাঁকে এসএসকেএম অথবা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করানোর চেষ্টা চলছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যেরা জানিয়েছেন আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার জন্য বিচার পেতে তাঁরাও লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।