অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বিদ্যুৎবরণ গায়েন। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠদের আর্থিক লেনদেনের উপর নজর রেখেছে সিবিআই। সোমবারই নিজাম প্যালেসে তলব করা হয় বোলপুর এবং সিউড়ির রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের। আর একই দিনে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হল ব্যাঙ্ক নথি। বোলপুর পুরসভার গাড়িচালক বিদ্যুতের বাড়ির সামনে একটি নালায় বেশ কিছু কাগজ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখান থেকে মিলিছে পঞ্চানন গায়েন নামে এক জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি। ঘটনাচক্রে বিদ্যুতের বাবার নামও পঞ্চানন।
পঞ্চাননের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ছাড়াও ব্যাঙ্কের বেশ কিছু চেক, টাকা জমা দেওয়ার স্লিপ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে বিদ্যুতের বাড়ির সামনের নর্দমায়। তবে সমস্ত কাগজপত্রই ছেঁড়া। প্রশ্ন উঠছে, ব্যাঙ্কের নথি লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে কি না। বিদুৎ আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য লুকোতে চাইছেন কি না, উঠছে সেই প্রশ্নও।
পেশায় পুরসভার গাড়িচালক বিদ্যুৎ অনুব্রতের কাছের লোক বলে এলাকায় পরিচিত। তাঁদের বাড়িও কাছাকাছি। বস্তুত, অনুব্রতের এলাকা বোলপুরের কালিকাপুর মৌজাতেই ৫৭টি জমি রয়েছে বিদ্যুতের। তথ্য বলছে, মাত্র দু’বছরে বোলপুরে ওই গাড়িচালক কিনেছেন ৫৬০ কাঠা জমি। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৩৩ কোটি টাকার উপরে।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের গ্রেফতারির পর তাঁর কন্যা-সহ একাধিক ব্যক্তি রয়েছেন সিবিআইয়ের নজরে। তাঁদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির উৎস খুঁজছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সেখানে প্রথম থেকেই নজরে এই বিদ্যুৎ। প্রথম জীবনে বোলপুর পুরসভায় গাড়িখালাসি ছিলেন তিনি। পরে পুরসভার গাড়ি চালাতে শুরু করেন। আর গাড়িচালক হয়েই যেন বাড়াবাড়ি শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে বিদ্যুতের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, বিদ্যুতের নামে থাকা এই বিশাল পরিমাণ জমি-টাকার আসল মালিক অনুব্রত।