Rampurhat Medical college

হাড় জোড়ার অদম্য চেষ্টা মেডিক্যালে

তরুণীর প্রতিবেশী রাহুল সাহা জানান, দুর্ঘটনার পরে সরস্বতী মুর্মু নামে ওই তরুণীর হাতে-পায়ে প্লাস্টার করা হয়েছিল রামপুরহাট মেডিক্যালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:১৫
Share:

সরস্বতীর ভাঙা পা পরীক্ষা করছেন চিকিৎসক। নিজস্ব চিত্র

ছ’মাস আগে পথ দুর্ঘটনায় ডান পায়ের হাড় ভেঙে থেঁতলে গিয়েছিল রামপুরহাট থানার জামকাঁদর গ্রামের এক আদিবাসী তরুণীর। হাঁটা-চলাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই ভাঙা হাড় জোড়া লাগানোয় উদ্যোগী হয়েছে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগ। চিকিৎসদের প্রচেষ্টায় ওই তরুণী কিছুটা হলেও হাঁটাচলা করতে পারছেন।

Advertisement

তরুণীর প্রতিবেশী রাহুল সাহা জানান, দুর্ঘটনার পরে সরস্বতী মুর্মু নামে ওই তরুণীর হাতে-পায়ে প্লাস্টার করা হয়েছিল রামপুরহাট মেডিক্যালে। এর পরে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসকেরা মাস দুয়েক আগে ডান পায়ের হাঁটুর নীচে ভাঙা দু’টি হাড় জোড়া লাগাতে উদ্যোগী হন। তাতে অনেকটাই সফল হয়েছেন চিকিৎসকেরা। এর মাঝে আর একবার এসএসকেএমে প্লাস্টিক সার্জারি হয়েছে মেয়েটির। সোমবার সরস্বতীকে ফের রামপুরহাট মেডিক্যালের অর্থোপেডিক বিভাগে ভর্তি করানো হয়।

অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান সৌম্য ঘোষ জানান, দুর্ঘটনায় ওই তরুণীর পায়ের হাড় থেঁতলে গিয়েছিল। চামড়ার সঙ্গে হাড় বেরিয়ে গিয়েছিল। তখন পায়ে রড লাগিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। এসএসকেএম থেকে ফিরে আসার পরে পায়ে নতুন করে যাতে হাড় বের হয়, তার জন্য চারটি ‘রিং’ বেঁধে দিয়ে হাড় বাড়ানো হচ্ছে। সৌম্য ঘোষ বলেন, ‘‘ভেঙে যাওয়া দু’টি হাড়ের মধ্যে ৭ সেন্টিমিটার ফাঁক আছে। রিং লাগানোর ফলে প্রতিদিন এক মিলিমিটার করে হাড় বৃদ্ধি পাবে। এই ভাবে দুই হাড়ের ফাঁকা অংশ পূরণ হতে অন্তত আড়াই মাস সময় লাগবে। পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য তরুণীকে অর্থোপেডিক বিভাগে ভর্তি করানো হয়েছে।’’

Advertisement

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, এই ধরনের জটিল হাড়ের অস্ত্রোপচার রামপুরহাট মেডিক্যালে নতুন। চিকিৎসকদের আশা, আড়াই মাসের মধ্যে সরস্বতী ধীরে ধীরে নিজেই হাঁটাচলা করতে পারবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement