শুভেন্দুর কথা টেনে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জয়প্রকাশ।
বীরভূমে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বড় কোনও ষড়যন্ত্র নয় তো? প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। রামপুরহাট-কাণ্ডের ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও বিজেপি নেতাদের মন্তব্য শুনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কিছু কথা তাঁর মনে পড়ে গিয়েছে বলে জানালেন সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ। তিনি দাবি করেন, শুভেন্দুই নিজের মুখে বলেছিলেন, ‘‘একটা-দুটো মৃতদেহ দিয়ে কিছু হবে না। এটা নন্দীগ্রাম হওয়া দরকার।’’ শুভেন্দুর ওই কথা থেকেই তাঁর সন্দেহ, বগটুই গ্রামের ঘটনা শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চক্রান্ত নয় তো?
সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ ভবানীপুর উপনির্বাচনের সময়কার একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন জয়প্রকাশ। তখন সদ্যই বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়প্রকাশ বলেন, ‘‘ভবানীপুর উপনির্বাচনের সময় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছিল। আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, তাঁর মৃতদেহ নিয়ে কালীঘাটে আসা হয়েছিল। এই ঘটনার পরের দিন দলের মধ্যে আলোচনায় শুভেন্দুবাবু বলেছিলেন, ‘এই রকম একটা মৃতদেহ নিয়ে কিছু হবে না। একটা নন্দীগ্রাম করিয়ে দিতে পারলেই কেল্লাফতে!’ এর মানেই তো গণহত্যা! তখন আমরা শুভেন্দুবাবুকে বলি, ‘তর্কের খাতিয়ে যদি তোমার কথা মেনে নিই, তা হলেও নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে তো আর রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়নি।’ তখন ও বলে, ‘আরে, সেই সময় তো ইউপিএ সরকার ছিল। এখন তো আমাদের সরকার কেন্দ্রে। আর আমাদের রাজ্যপাল।’ গত পরশুর সব ঘটনা এক করলে একটা চিত্রনাট্য পরিষ্কার হচ্ছে। আমার শুধু মনে হচ্ছে, এই ঘটনা পরিকল্পনা করে ঘটানো নয়তো! যাতে সারা ভারতে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়? শান্ত পশ্চিমবঙ্গকে অশান্ত পশ্চিমবঙ্গ করার চেষ্টা নয় তো?’’
জয়প্রকাশের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেন, ‘‘জয়প্রকাশ মজুমদারের মানসিক সমস্যা রয়েছে। ওর কথার জবাব দেব না আমি। বিজেপি-তে থেকে যার ছেলে আইকোরে কাজ করত, সে বিজেপি-র সঙ্গে কত বড় গদ্দারি করেছেন, তা বলে বোঝাতে পারব না।’’