বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনে পর্যটকদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র ।
শীতের মরসুমে এমনিতেই শান্তিনিকেতন জুড়ে পর্যটকদের ভিড় হয়। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ রবীন্দ্রভবনও থাকে ভিড়ে ঠাসা। তার উপরে এ বার শান্তিনিকেতনের একাংশকে ইউনেস্কো ‘বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্র’ ঘোষণা করেছে। সব মিলিয়ে এই পর্যটন থেকে এই শীতের মরসুমে রবীন্দ্রভবনের আয় হল ৬৬ লক্ষ টাকারও বেশি। যা অন্য বছরের এই মরসুমের তুলনায় বেশি বলে বিশ্বভারতী সূত্রের খবর। এতে খুশি রবীন্দ্রভবনের কর্মী, আধিকারিক থেকে শুরু করে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ।
রবীন্দ্রভবন সূত্রে খবর, শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের পাশাপাশি দর্শকদের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা রবীন্দ্রভবন। এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাঁচটি বাড়ি ছাড়াও রয়েছে সংগ্রহশালা। যেখানে রবীন্দ্রনাথ সংক্রান্ত নানা স্মারক রাখা। যা দেখতে প্রতি দিনই ভিড় হয়। তবে প্রতি বছর শীতের মরসুমেই ভিড়টা বেশি হয়। গত বছরের নভেম্বর থেকে জানুয়ারি শেষ পর্যন্ত এ বারও পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা ছিল রবীন্দ্রভবন। এই সময়ে সপ্তাহের কাজের দিনে আড়াই-তিন হাজার দর্শক এসেছিলেন রবীন্দ্রভবনে। শনি ও রবিবার সেই সংখ্যা কয়েক গুণ ছাড়িয়ে গিয়েছিল বলে রবীন্দ্রভবন সূত্রে খবর।
রবীন্দ্রভবনের প্রবেশ মূল্য বিদেশিদের জন্য ৫০০ টাকা। ‘সার্ক’ভুক্ত দেশগুলির নাগরিকদের জন্য ৩০০ টাকা, সাধারণ ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ৭০ টাকা এবং পড়ুয়াদের জন্য ১০ টাকা। রবীন্দ্রভবনের দৈনিক টিকিট বিক্রির হিসেব অনুযায়ী গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি শেষ পর্যন্ত মোট ৬৬ লক্ষ ৫১ হাজার ৫২০ টাকা টিকিট বিক্রি হয়েছে । এই তিন মাসে গড়ে ২২ লক্ষ টাকার আয় হয়েছে বলে বিশ্বভারতী সূত্রের খবর।
রবীন্দ্রভবনের অধ্যক্ষ অমল পাল বলেন, ‘‘করোনার পর থেকে এমনিতেই পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে শান্তিনিকেতনে। তবে শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হওয়ার পরে পর্যটকের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বিশ্বভারতীর ক্ষেত্রে বিশেষ সুখকর।’’