Jhalda Municipality

আমার স্বামীর মৃত্যুতেই ওদের পতন, বলছেন ঝালদার নিহত কাউন্সিলর তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা

তপন কান্দুর হত্যাই ‘বদল’ এনেছে ঝালদা পুরসভায়। ওই ঘটনার জেরেই ‘পতন’ হয়েছে তৃণমূলের। এমনটাই মনে করেন ঝালদা পুরসভার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝালদা শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২২ ১৮:১১
Share:

ঝালদা পুরসভা তৃণমূলের হাতছাড়া হতেই তোপ নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর। — ফাইল চিত্র।

তপন কান্দুর হত্যাই ‘বদল’ এনেছে ঝালদা পুরসভায়। ওই ঘটনার জেরেই ‘পতন’ হয়েছে তৃণমূলের। এমনটাই মনে করেন ঝালদা পুরসভার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। সোমবারই ঝালদা পুরসভায় আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে তৃণমূল। দুই নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছে কংগ্রেস। এই আবহেই নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পূর্ণিমা। তপন জায়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুরুলিয়ার তৃণমূ নেতৃত্ব।

Advertisement

চলতি বছরের ১৩ মার্চ সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন তপন। ওই খুনের ঘটনা ঘিরে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যে। এ নিয়ে কংগ্রেস আঙুল তোলে শাসক দল তৃণমূলের দিকে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। ওই ঘটনার তদন্তভার এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-র হাতে। তপন হত্যার প্রায় ৮ মাস পর ঝালদা পুরসভায় দুই নির্দল কাউন্সিলরকে নিয়ে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছে কংগ্রেস। এই ঘটনায় উচ্ছ্বাসের ছবি দেখা গিয়েছে হাতশিবিরে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলকে বিঁধে নিহত তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা বলেন, ‘‘এই দিনটা এক দিন না এক দিন আসতই। সেটা অনেক আগেই আসত। কিন্তু, ওরা নিজেরা জোর জবরদস্তি করে বোর্ড দখল করতে চেয়েছিল। তাই আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছিল। আজ ভাল লাগছে। আমার স্বামীর মৃত্যুই ওদের পতন ডেকে আনল।’’ তাঁর মতে, ‘‘আমরা নির্দল কাউন্সিলরদের চাপ দিইনি। ওঁরা নিজেরাই ভাল বুঝেছেন তাই আমাদের সঙ্গে এসেছেন।’’ তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ঝালদা পুরবোর্ড ভবিষ্যতে চালানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী পূর্ণিমা।

পূর্ণিমার বক্তব্য তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলার সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার প্রতিক্রিয়া, ‘‘তৃণমূল এই ধরনের ঘৃণ্য রাজনীতি করে না এবং সমর্থনও করে না। এই ঘটনায় তো সিবিআই তদন্ত করছে। আর আমরা তো প্রথম থেকেই বলে আসছি যে, যারা এই ঘটনায় জড়িত তারা সাজা পাক।’’ প্রসঙ্গত, ঝালদা পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন ৫ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং এক নির্দল কাউন্সিলর। এর পরই তৃণমূল ছাড়েন ঝালদার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। শীলা নির্দল প্রার্থী হিসাবে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এর ফলেই বদলে যায় ঝালদা পুরসভার সমীকরণ। মোট ১২ আসনের ওই পুরসভায় বিরোধী কাউন্সিলরের সংখ্যা বেড়ে হয় ৭। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় ঝালদা পুরসভার রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement