স্বামীর ছবির সামনে পুরপ্রধান পূর্ণিমা। ছবি: দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়
পুরবোর্ড গঠনের মুখে আততায়ীদের গুলিতে নিহত কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি তপন কান্দুর ছবি পুরভবনের দেওয়ালে টাঙিয়ে পুরপ্রধানের চেয়ারে বসলেন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। শুক্রবার হাই কোর্ট ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পূর্ণিমাকে ঝালদার পুরপ্রধানের দায়িত্ব দেয়। শনিবার পুরভবনে এসে সেই দায়িত্ব গ্রহণ করেন পূর্ণিমা। ঝালদাবাসীর একাংশের মতে, পুরবোর্ড গঠনের টানাপড়েনের মধ্যে তপনের হত্যার পর থেকে যে লড়াই শুরু হয়েছিল, এ দিন যেন তার বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। দায়িত্ব নিয়ে এ দিন পূর্ণিমা বলেন, ‘‘বিরোধীদের মতো পক্ষপাতিত্ব নয়, সবাইকে নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করব। এই দিনটা স্বামীকেই উৎসর্গ করছি।’’
এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ ঝালদা পুরভবনে যান পূর্ণিমা। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের বাকি পুরপ্রতিনিধিরা। পরে কংগ্রেসের সঙ্গ নেওয়া নির্দলীয় পুরপ্রতিনিধি শীলাও এসে পূর্ণিমার সঙ্গে দেখা করেন। সোমবার শীলাকে সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধিরা পুরপ্রধান নির্বাচিত করেন। মঙ্গলবার তিনি শপথ নেন। বুধবার উপপুরপ্রধান পদে শপথ নেন পূর্ণিমা। সে দিনই শীলার পুরপ্রতিনিধি পদ বাতিল হয়। তারপরেই রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সুদীপ কর্মকারকে পুরপ্রধানের দায়িত্ব দেয়। যদিও হাই কোর্ট ওই নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ দিয়ে পূর্ণিমাকে পুরপ্রধানের দায়িত্ব দেয়।
এ দিনও দলীয় কর্মীদের মুখে পূর্ণিমার স্বামী তপন কান্দুর কথা নানা প্রসঙ্গে ওঠে। ২০০৮ সাল থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য সুরেশ আগরওয়াল পুরপ্রধান হন। তারপরে ২০০৯ সালে এক বছরের বেশি সময়ের জন্য পুরপ্রধান হন তপন কান্দু। ঘটনাচক্রে এ বার সুরেশ কয়েক মাস পুরপ্রধান থাকার পরে কয়েক দফায় হাত ঘুরে পুরপ্রধানের কুর্সিতে বসলেন তপনের সহধর্মিণী পূর্ণিমা।
পূর্ণিমাকে অভিনন্দন জানিয়ে পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, ‘‘পূর্ণিমার হাত ধরেই অচল হয়ে থাকা ঝালদায় উন্নয়নের কাজের সূচনা হবে। এই জয় ঝালদার শান্তিপ্রিয়, গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জয়।’’