শুভেন্দুর পাশে ২ তৃণমূল কাউন্সিলরকে নিয়ে শুরু চর্চা। —নিজস্ব চিত্র।
গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন সিবিআই হেফাজতে। অনুব্রতকে বার বার আক্রমণ করা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দেখা গেল কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ বীরভূমের ২ তৃণমূল কাউন্সিলরকে। রবিবার এ নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। অস্বস্তির মধ্যেও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব একে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বলে পাশ কাটাতে চাইছেন। যেমনটি ওই দুই কাউন্সিলরও বলছেন। তবে বিজেপির কটাক্ষ, তৃণমূলের অনেকেই পদ্ম শিবিরে পা বাড়ানোর জন্য তৈরি। সিউড়ি পুরসভার ২ কাউন্সিলর, উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় এবং কুন্দন দে তারই উদাহরণ। ইতিমধ্যে শুভেন্দুর পাশে ২ তৃণমূল কাউন্সিলরের ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল।
শনিবার বীরভূম জেলার সিউড়িতে বেশ কয়েকটি কালীপুজোর উদ্বোধন করতে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সিউড়ি রেড রোজ, ত্রিনাথ আখড়া, কালীবাড়ি-সহ বামনী কালী মন্দিরে পুজোর উদ্বোধনে যান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেই বামনী কালীমন্দিরে শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা গিয়েছে সিউড়ি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমানে সিউড়ি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় ওরফে উতুকে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুন্দন দে। ওই ভিডিয়োটি শুভেন্দু নিজের ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করেন। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে যায় ওই ভিডিয়ো।
এই ভিডিয়ো নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ২ কাউন্সিলর। উজ্জ্বলের কথায়, ‘‘আমি প্রতি বছরই পুজোর আগে বামনী কালী মন্দিরে যাই। এ বছরও গিয়েছিলাম। মন্দিরে ছিলাম। হঠাৎই দেখতে পেলাম, শুভেন্দু এসেছেল। বিগত দিনে একই দলে থাকার সুবাদে তিনি আমার পূর্বপরিচিত। এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ।’’ দলবদলের প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে তাঁর সংযুক্তি, ‘‘মায়ের মন্দিরে রাজনীতি কিসের? আর এমনিতে এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। প্রতিটা বিরোধী দল ও তাদের কর্মীদের সম্মান করি আমরা। আমি তৃণমূলের আদর্শ মেনে সেটাই করেছি। এখানে রাজনীতির রং লাগানোর কিছু নেই।’’ একই কথা বলছেন কুন্দনও।