Kerala Human Sacrifice

ছক ছিল কিডনি, হৃৎপিণ্ড বিক্রির, বলির পর তাই কেরলের দুই মহিলার দেহ রাখা হয়েছিল ফ্রিজে!

শফি স্বীকার করেছেন, তিনিই ভগবল সিংহ এবং তাঁর স্ত্রীকে বুঝিয়েছিলেন যে, তাঁর সঙ্গে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচার চক্রের যোগ আছে। হৃৎপিণ্ড, যকৃৎ এবং কিডনি বিক্রি করতে পারলে ভাল টাকা পাওয়া যাবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২২ ১৫:২২
Share:

অভিযুক্ত মহম্মদ শফি, ভগবল সিংহ এবং তাঁর স্ত্রী লায়লা। ফাইল চিত্র।

দুই মহিলাকে বলি দেওয়ার পর তাঁদের কিডনি, যকৃৎ এবং হৃৎপিণ্ড বিক্রির ছক কষেছিলেন কেরলের নরবলি কাণ্ডের অভিযুক্তরা। মূল অভিযুক্ত মহম্মদ শফিকে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশের কাছে জেরায় শফি স্বীকার করেছেন, তিনিই ভগবল সিংহ এবং তাঁর স্ত্রীকে বুঝিয়েছিলেন যে, তাঁর সঙ্গে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচার চক্রের যোগ আছে। হৃৎপিণ্ড, যকৃৎ এবং কিডনি বিক্রি করতে পারলে ভাল টাকা পাওয়া যাবে। আর সেই লোভে প্রথম মহিলা রোসেলিনাকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটার পর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন।

কিন্তু দু’দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরে শফি সিংহ দম্পতিকে জানান, কোনও খদ্দের খুঁজে পাননি। ফলে এখনই বিক্রি সম্ভব নয়। শফি আরও জনান, তাঁর ধারণা ছিল না যে, এক জন থেরাপিস্ট হয়েও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংরক্ষণ করার নিয়ম জানতেন না ভগবল। ফলে সেই অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি নষ্ট হয়ে যায়। তার পর সেগুলি গর্তে পুঁতে দেন তাঁরা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, দ্বিতীয় মহিলা পদ্মাকে খুন করার পরেও একই কথা বলেছিলেন শফি। এ বারেও অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন ভগবল। কিন্তু শফি জানান, এ বারেও তিনি পছন্দমতো কোনও খদ্দের পাননি। ফলে এ বারও সেগুলি ফেলে দিতে হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দুই মহিলার দেহ উদ্ধার হলেও, তাঁদের শরীর থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গায়েব ছিল। আর তাতেই ধারণা করা হয়েছিল, মহিলাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির ছক করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, একই কথা স্বীকার করেছেন মূল অভিযুক্ত শফিও। কিন্তু শফি আদৌ কতটা সত্যি বলছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement