শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে চাপ, পুরুলিয়ায় আত্মঘাতী মহিলা। — প্রতীকী ছবি।
বিধবা এক মহিলার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়ে নিয়মিত চাপ দিতেন এক ব্যক্তি। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়ে নিজেকে শেষ করলেন মহিলা। এ বিষয়ে মৃতার ভাই সোমবার বাঘমুন্ডি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করেছে।
১২ বছর আগে ওই মহিলার সঙ্গে গ্রামেরই যুবক মহীতোষ কুইরির বিয়ে হয়। দম্পতির একটি ১১ বছরের পুত্র ও ৭ বছরের এক কন্যা রয়েছে। বছর চারেক আগে মহিতোষের মৃত্যু হয়। তার পর থেকে ওই মহিলা নোওয়াডি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। মহিলার ভাই সিটু ভুঁইয়া বলেন, ‘‘বিধবা হওয়ার পর থেকেই মোহিত কুইরি দিদির উপর নানা রকম মানসিক চাপ তৈরি করতেন। তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপ দিতেন। দিদি রাজি ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত মোহিতের চাপ সহ্য করতে না পেরে দিদি আত্মঘাতী হয়েছেন।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে বিষ পান করেন ওই মহিলা। তাঁকে প্রথমে তুন্তুরি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন সোমবার রাতে মহিলার মৃত্যু হয়। এর পরেই মহিলার পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় মোহিতের বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুরুলিয়ার জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’