বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আবির খেলা। —নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছিল বুধবার। সে দিনই আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। বৃহস্পতিবারও তার রেশ থাকল। রইল রাজনীতির ছোঁয়াচও।
পাঁচ বছরের কার্যকালে বিতর্ক বারবারই সঙ্গী হয়েছে বিদ্যুতের। অভিযোগ, নানা সময় বিদ্যুতের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে ছাত্র-শিক্ষক, কর্মী, আশ্রমিক থেকে অনেককেই। বুধবার তাঁর কার্যকাল শেষ হওয়ার খবর জেনেই মিষ্টি বিতরণ থেকে শুরু করে পদযাত্রা হয়েছে শান্তিনিকেতনে। এ দিন সকালে উপাসনাগৃহের সামনে আশ্রমিক-প্রাক্তনী-পড়ুয়ারা সমবেত হয়ে বৈতাকিকের মধ্যে দিয়ে আশ্রম পরিক্রমা করেন। করা হয় প্রতীকী উপাসনাও।
বিদ্যুৎ-বিদায়ের পরে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ দিন দুপুরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করেন বিশ্বভারতীর কিছু কর্মী, এলাকার ব্যবসায়ী ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একাংশ। আবিরও খেলেন তাঁরা। একই ভাবে বিজেপির তরফেও এ দিন উপাসনা গৃহের সামনের অংশ গোবরজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করা হয়। অন্য দিকে, ফলক-বিতর্ক নিয়ে টানা ১৪ দিন আন্দোলন চালানোর পরে এ দিন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করে আন্দোলন তুলে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস।
এ দিন সন্ধ্যাতেও আশ্রমিক, প্রাক্তনী, অধ্যাপক, পড়ুয়ারা সমবেত হন। সিংহ সদনে আলোকসজ্জা ও গানের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করা হয় প্রবীণ আশ্রমিক সুবীর বন্দোপাধ্যায়, অনিল কোনার বলেন, ‘‘শান্তিনিকেতনে আজ থেকে নতুন অধ্যায় শুরু হল। এক নতুন যুগকে আবার আহ্বান করলাম।’’