প্রতীকী চিত্র
আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি প্রকল্পে জিও ট্যাগিং এর কাজ করার সময় এক পঞ্চায়েত কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রতিবাদে থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।বুধবার সকালে মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রাম অঞ্চলের টাউসিয়া গ্রামের ওই ঘটনায় আক্রান্ত পঞ্চায়েত কর্মী অভিজিৎ গড়াই ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের বিডিও র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মল্লারপুর থানার ভগবতীপুর গ্রামের সুশান্ত দে এবং শিবগ্রামের বাসিন্দা দীপু কুণ্ডুর বিরুদ্ধে মল্লারপুর থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেন অভিজিৎবাবু। তাঁর অভিযোগ, টাউসিয়া গ্রামে আবাস যোজনার কাজ করার সময় সুশান্ত দে ও দীপু কুণ্ডু তাঁকে আচমকা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন ও কাজ করতে বাধার সৃষ্টি করে। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কারণ জানতে চাইলে অভি্যুক্তরা আমাকে বেপরোয়া ভাবে লাথি, ঘুসি, চড় থাপ্পড় মারতে থাকে। আমাকে মারছে দেখে গ্রামের লোকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।’’ এলাকার বিধায়ক তথা তৃণমূলের ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের সভাপতি অভিজিৎ রায়ের দাবি, অভিযুক্তরা বিজেপি কর্মী।
বৃহস্পতিবার সকালে বিজেপির ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের একটি মণ্ডলের সভাপতি সুশান্ত দে-কে পুলিশ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে রামপুরহাট থানায় পাঠায় মল্লারপুর থানার পুলিশ। বিডিও (ময়ূরেশ্বর ১) গোরাচাঁদ বর্মণ বলেন, ‘‘সরকারি কাজ করতে গিয়ে পঞ্চায়েত কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশকে সে বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’’
দলের নেতা সুশান্ত দে-র নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিজেপি কর্মীরা বৃহস্পতিবার সকালে মল্লারপুর থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। বিজেপি নেতৃত্বর অভিযোগ পঞ্চায়েতে কাটমানির ভাগ নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। বিজেপি কর্মীরা কেবল তার প্রতিবাদ করেন। বিজেপির জেলা নেতা মানস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। বিজেপি কোনও আন্দোলন করলে বিজেপি কর্মীদের ধরপাকড় করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। আমরা চাই সুশান্ত দে-কে নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়া হোক।’’ ধৃতকে তিন দিনের জন্যে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।