ট্রেন চালানোর নির্দেশিকা না আসায় হতাশ এলাকাবাসী। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে রবিবার। কিন্তু রাজ্য সরকারের সবুজ সঙ্কেতের পরেও রবিবার পৃথক ফল পেতে চলেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা বিভাগ। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে কোনো নির্দেশিকা এসে না পৌঁছনোয় রবিবার লোকাল ট্রেন চলাচল নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলার ট্রেন যাত্রীরা।
রেলের আদ্রা বিভাগের বিভাগীয় ম্যানেজার মণীশ কুমার বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে লোকাল ট্রেন চালানোর ব্যাপারে রেলের তরফে কোনও নির্দেশিকা এসে পৌঁছয়নি।’’ বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলার বেশির ভাগ ট্রেন পথই আদ্রা বিভাগের আওতায়। রেল যাত্রীদের দাবি, এই রুটগুলিতে করোনা পূর্ববর্তী সময়ে প্রায় ৫০ জোড়া লোকাল ট্রেন চলাচল করত। এত দিন পর্যন্ত অধিকাংশ লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন ওই দুই জেলার যাত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর লোকাল ট্রেন চলার আশায় ছিলেন অনেকেই। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ পর্যন্ত রেলের তরফে কোনও নির্দেশিকা না আসায় হতাশ যাত্রীরা।
বিডিআর রেলওয়ে পরিবহণ ওয়েলফেয়ার কমিটির উপদেষ্টা চণ্ডীদাস মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার লাইফলাইন বিডিআর রেলপথ। গত বছর থেকে এই রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় আমরা আশার আলো দেখতে পেয়েছিলাম। রবিবার এই পথে ট্রেন চলাচল এখনও অনিশ্চিত শুনে আমরা হতাশ।’’
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা লোকসভায় রেলের স্থায়ী কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাসুদেব আচারিয়া বলেন, “আমরা রেলের কাছে দাবি করেছি করোনা পূর্ববর্তী যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু ছিল তা অবিলম্বে চালু করতে হবে। একটি ট্রেনও বন্ধ রাখা চলবে না। যত কম সংখ্যক ট্রেন চলবে ততই ট্রেনে ভিড় বাড়বে। শারীরিক দূরত্ব বিধি শিকেয় উঠবে। আমি ফের রেলের সঙ্গে কথা বলে আদ্রা ডিভিশনে দ্রুত লোকাল ট্রেন চালুর দাবি জানাব।’’