অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে। সিউড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তোলা নিজস্ব চিত্র।
স্বচ্ছ ভারত মিশনের বাংলা সংস্করণ ‘মিশন নির্মল বাংলা’ গড়ার সর্বোচ্চ সময়সীমা ২০১৯ সাল। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রার অনেক আগেই নির্মল হবে বীরভূম— এমনই সংকল্প নিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।
বুধবার জেলার ৫৩টি পঞ্চায়েতকে একযোগে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘নির্মল’ ঘোষণা উৎসব ছিল তারই প্রথম ধাপ। সিউড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত উৎসব থেকে একই বার্তা দিলেন মন্ত্রী থেকে আমলা, সকলেই।
এক যোগে এতগুলি পঞ্চায়েত নির্মল ঘোষিত হবে, তার জন্য প্রস্তুতি পর্ব ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল ৯টায় একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা প্রশাসন এ দিন সকাল থেকেই জেলার যে পঞ্চায়েতগুলি নির্মল ঘোষিত হল, সেই পঞ্চায়েতগুলি র্যালিতে যোগ দেয়। ছিল স্কুলপড়ুয়া, এনসিসি ক্যাডেট। ছিল রণ-পা, রায়বেশ নৃত্য, ঘোড়া নৃত্য, মুখোশ নাচ, আগিবাসী নৃত্য, বাউল ট্যাবলো। সিধো-কানহো মঞ্চ থেকে শোভাযাত্রাটি বেরিয়ে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আসার পথে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গ্রুপ শহরের বিভিন্ন মোড়ে অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। তার পর স্টেডিয়ামে মূল অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বেলা প্রায় ১২টা নাগাদ। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, জেলার দুই মন্ত্রী চন্ত্রনাথ সিংহ ও আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মিশন ডিরেক্টর নির্মল বাংলা ও কমিশনার এমজিএনআরইজিএ দিব্যেন্দু সরকার, ইউনিসেফ-এর প্রতিনিধি দেবকুমার চক্রবর্তী, জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী, সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী-সহ প্রশাসনের বহু কর্তা। জেলার সব ক’টি নির্মল পঞ্চায়েতকে শংসাপত্র দেওয়া হয়।
সুব্রতবাবু দাবি করেন, ‘‘জেলাকে নির্মল করার পথে দ্রুত এগোচ্ছে বীরভূম। আবার আসব, যে দিন বীরভূম জেলা নির্মল হবে।’’ দিব্যেন্দুবাবু জানান, এ রাজ্যে যে ক’টি জেলা খুব ভাল কাজ করছে, সেই তালিকায় নাম রয়েছে বীরভূমেরও। তবে, একসঙ্গে নয়, ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে যে ভাবে এই জেলা এগোচ্ছে, সামনের বছরে গোটা জেলা নির্মল হবে— আশ্বাস তাঁর। দেবকুমারবাবুও বলছেন, ‘‘স্বচ্ছতা অভিযানে সামনের সারির জেলার মধ্যে অবশ্যই বীরভূম আসবে।’’