প্রেমিক আলেকজ়ান্ডারের সঙ্গে নাতাশা স্তানকোভিচ। ছবি: এক্স।
প্রেমে আছেন, ফ্রেমেও! দিন কয়েক আগে প্রাক্তন স্বামী, একমাত্র সন্তানের সঙ্গে ছবি দিয়ে ‘আমরা এখনও এক পরিবার’ কথাটা লিখেছিলেন নাতাশা স্তানকোভিচ। দিন কয়েক যেতে না যেতেই নাতাশাকে দেখা গেল চর্চিত প্রেমিকের সঙ্গে এক ফ্রেমে! শনিবার রাতে হার্দিক পাণ্ড্যের প্রাক্তন স্ত্রী মুম্বইয়ের এক রেস্তরাঁয় গিয়েছিলেন আলেকজ়ান্ডার অ্যালেক্সের সঙ্গে। সঙ্গে সঙ্গে ছবি তুলে মুহূর্ত বন্দি করলেন একদল আলোকচিত্রী। নাতাশা কিন্তু এড়িয়ে যাননি। বরং, চর্চিত প্রেমিককে নিয়ে হাসিমুখে পোজ় দিয়েছেন।
সপ্তাহান্তের প্রথম রাত। সারা সপ্তাহের কাজের ক্লান্তি সরিয়ে ‘আমচি মুম্বই’ শনিবার উল্লাসের মেজাজে। একান্ত অবসর বিনোদনে জনপ্রিয় মুখেদের আনাগোনা প্রেক্ষাগৃহ, রেস্তরাঁ, নিশি ঠেকে। বান্দ্রার এক রেস্তরাঁয় তেমনই ভাবেই সম্ভবত উপস্থিত হয়েছিলেন চর্চিত যুগল। আলেকজ়ান্ডার নিজেকে মুড়েছিলেন নীল ডেনিমে। নিজেদের মতো করে সময় কাটানোও তো এক ধরনের উদ্যাপন। তাই কি নাতাশার সাজে রাতের মতোই নিকষ কালো রং! ছোট পোশাক থেকে হান্টার শু— সবেতেই সেই রঙের ছোঁয়া।
রেস্তরাঁয় ক্যামেরাবন্দি আলেকজ়ান্ডার-নাতাশা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
আলোকচিত্রীরা ঘিরে ধরতেই আলেকজ়ান্ডার যেন অল্প দ্বিধায়, অস্বস্তিতে। নাতাশার কিন্তু কোনও সমস্যা নেই। তিনি প্রেমিককে নিয়ে ক্যামেরার মুখোমুখি হয়েছেন। তার পর হাসিমুখে ছবিশিকারিদের বিদায় জানিয়ে পা রেখেছেন রেস্তরাঁয়।
হার্দিক পাণ্ড্যের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণার পরেই ছেলেকে নিয়ে সার্বিয়া উড়ে গিয়েছিলেন নাতাশা। কিছু দিনের মধ্যেই ভারতে ফেরেন তিনি। ফিরেই একটি মিউজ়িক ভিডিয়োর কাজ সেরে ফেলেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নাতাশা এ-ও জানিয়েছেন, তিনি আর সার্বিয়া যাচ্ছেন না। এই দেশেই থাকছেন। কারণ, তাঁদের সন্তান। একরত্তি অগস্ত্যের স্কুল ভারতে। তাঁদের সন্তানের পরিবার, অর্থাৎ হার্দিকেরা এ দেশে থাকেন। ফলে, ভারতকেই তিনি নিজের দেশ মনে করছেন। ফের আগের মতোই কাজের ব্যস্ততায় ডুবে যেতে চেষ্টা করছেন নাতাশা।