মা উড়ালপুলে ফের চিনা মাঞ্জার বিপদ। নাক কাটল বাইক আরোহীর। অল্পের জন্য বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন সহযাত্রীও। রবিবার দুপুরের এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর অভিযোগ তুলেছেন আক্রান্ত যুবক। তবে পরে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পুলিশের গাড়ি করেই নিকটবর্তী হাসপাতালে যান ওই যুবক।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে এসএসকেএম হাসপাতালের দিক থেকে মা উড়ালপুলে উঠেছিলেন বাইক আরোহী ওই যুবক। নিউ টাউনের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু মাঝপথেই বিপত্তি ঘটে। চিনা মাঞ্জায় গুরুতর আহত হন তিনি। চিনা মাঞ্জার সুতোয় বাইক আরোহীর নাক এবং দুই চোখের মাঝের অংশ কেটে যায়। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় নাক চেপে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভিড় জমে যায়। ১০০ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সাহায্য চান আক্রান্ত যুবক। অভিযোগ, বেশ কিছুটা দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জার এই বিপদ অবশ্য নতুন নয়। গত সেপ্টেম্বরেই মাঞ্জাসুতোয় কপাল কেটেছিল এক পুলিশকর্মীর। আহত পুলিশকর্মীকে উদ্ধার করে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। কলকাতা শহরের দীর্ঘতম উড়ালপুল মা। প্রতি দিন বহু মানুষ এই উড়ালপুলের উপর দিয়ে যাতায়াত করেন। শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাকে যোগ করেছে এই উড়ালপুল। কিন্তু সেখানে চিনা মাঞ্জার সুতো একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পর মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জার জেরে দুর্ঘটনা আটকানোর চেষ্টা হয়েছিল। ড্রোন উড়িয়ে চেষ্টা চলেছিল। বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল উড়ালপুলের দু’দিক। মনে করা হয়েছিল, এর ফলে চিনা মাঞ্জা লেগে কেউ আহত হবেন না। রবিবার যেখানে দুর্ঘটনা ঘটে, সেখানেও দু’দিকে বেড়া লাগানো ছিল। তার পরও কী ভাবে চিনা মাঞ্জার সুতোয় আহত হলেন বাইক আরোহী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।