কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে পুলিশি তদন্তে খুশি নন স্ত্রী। ফাইল ছবি।
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে এ বার মৃতের দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, শনিবার ধৃত তৃণমূল নেতা দীপক কান্দুর বাবা নরেন কান্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তারা। পাশাপাশি, আগামিকাল, অর্থাৎ রবিবার এই খুনের মামলা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার। যদিও এতেও সন্তুষ্ট নন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা। তাঁর দাবি, স্বামীর খুনের ঘটনায় বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। অনেকেই জড়িত। এমনকি আইসি সঞ্জীব ঘোষ তাঁর স্বামীকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য জোর দিতেন। কেন ওই পুলিশ অফিসারকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে না প্রশ্ন তোলেন তিনি।
গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদ্য জয়ী কাউন্সিলর তপনকে গুলি করে মোটর বাইকে উঠে চম্পট দেয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে কাউন্সিলরকে রাঁচিতে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা। যদিও সেই হাসপাতালে ভর্তির আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত ওই কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভাইপো দীপক কান্দু এ বার তৃণমূলের টিকিটে ওই ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই কাকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি হেরে যান। এই মৃত্যুর ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সম্প্রতি কলেবর সিংহ নামে ঝাড়খণ্ডের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্য দিকে, নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন। শনিবার তিনি অভিযোগ করেন, স্বামীর খুনে অনেকে জড়িত। তিনি তদন্তে খুশি নন। এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় পূর্ণিমা।